বরগুনা সদর উপজেলার গোলবুনিয়া এলাকায় ঈদে ঘুরতে আসা হৃদয় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসা-মীর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ৩আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গতকাল বুধবার (২৭ মে)বিকালে বরগুনার সিনিয়র
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো.আব্বাস উদ্দিন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এ ছাড়াও এ মামলায় গ্রেফতার অপ্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি
জানা গেছে,ঈদের দিন বিকালে ৫টার দিকে নদীর তীরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় নয়নের গ্রুপের ১০/১২ জন হৃদয়ের উপর হামলা চালায়।প্রথমে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে হৃদয়ের অবনতি দেখে সাথে সাথে বরিশাল মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয় তারপর মঙ্গলবার ভোরে মারা যায়।আজ সন্ধায় বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট লবনগোলা গ্রামের নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে এ মামলার এক নম্বর আসামি নোমান কাজি (১৮), দুই নম্বর আসামি হেলাল মৃধা (২৬), ছয় নম্বর আসামি সাগর গাজি (১৬), সাত নম্বর আসামি ইমন হাওলাদার (১৮), আট নম্বর আসামি রানা আকন (১৬), ১২ নম্বর আসামি সফিকুল ইসলাম ঘরামি (১৫) এবং ১৫ নম্বর আসামি হেলাল ফকিরকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে হৃদয় হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনার সদর থানার পরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, এ মামলায় গ্রেফতার সাত আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি নোমান কাজি, হেলাল মৃধা এবং হেলাল ফকিরের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় ভার্চুয়াল আদালতে। পরে আদালত তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।পরে আদালত এ রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তিতে দিন ধার্য করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহত হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৪-১৫ বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।