জেলা প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে মুন্সিপাড়ায় ফাতেমা বীথিতে (বাড়ি) গিয়ে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের হত্যা করা হয়েছে। দুজনের মধ্যে শয়নকক্ষে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে স্বামী মজিবর রহমানের মরদেহ। স্ত্রী সুরাইয়া বেগমকে পাশের রান্নাঘরে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন: স্বামী মজিবর রহমান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগম। মজিবর শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গার রহিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে।
নিহতের একমাত্র সন্তান সিরাজুল ইসলাম জানান, তার বাবা-মার এভাবে মৃত্যুর কোনো কারণ জানা নেই। বাড়ির মালিক অ্যাডভোকেট নিলুফার ইয়াসমিন মোবাইলে তাকে বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর জানান।
বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে মুহ্যমান ছেলে সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে ঘটনাস্থল ফাতেমা বীথিতে কর্মরত ছিলেন তার বাবা মজিবর রহমান।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম বলেন, ফরেনসিক এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর জোড়া লাশের রহস্য জানা যাবে। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তারা।
রহস্য উদ্ঘাটনে সিআইডির ক্রাইম সিনের ফরেনসিক বিভাগ এবং পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর সহায়তায় আলামত সংগ্রহ শেষে সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।