1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় রাহাত হত্যা : বাকি দুই আসামি কোথায়?

  • সময় : শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৪০

উৎফল বড়ুয়া, সিলেট

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আলোচিত আরিফুল ইসলাম রাহাত হত্যা মামলার মূল আসামি ধরা পড়লেও বাকি দুজন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ওই দুই আসামিকেও গ্রেফতার করতে জোর অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি’র একটি সূত্র শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) কে জানিয়েছে, রাহাত হত্যা মামলার বাকি দুই আসামি তানভীর ও সানীকে ঘিরে দুটি টিম জাল গুটিয়ে আনছে। শীঘ্রই সেই জালে ধরা পড়বে আসামি দুজন। তাদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সিআইডি পুলিশ।
গত ২১ অক্টোবর দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ গেটের ভেতরে খুন হন উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮)। সেদিন দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম রাফিকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাহাত। সেখানে মোবাইল ফোনে বন্ধুদের না পেয়ে সোয়া ১২টার দিকে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন।
কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রধান ফটকের ভেতরে থাকা অবস্থায় আরেকটি মোটরসাইকেলে করে এসে অতর্কিতভাবে রাহাতের উরুতে ছুরিকাঘাত করেন ছাত্রলীগের কর্মী সামসুদ্দোহা সাদি ও তার সহযোগী তানভীর। পরে রাহাতকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টাকালে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাহাতও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।
ঘটনার একদিন পর (২৩ অক্টোবর) রাহাতের চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাদিসহ ৩ জনের নামোল্লেখ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে সিলাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে তানভির এবং আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে সানির নাম উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, রাহাত হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত শামসুদ্দোহা সাদী (২০) গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক মো. সুমন ভূঁইয়ার আদালতে অভিযুক্ত আসামি ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে শামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তারের পর দক্ষিণ সুরমা থানায় করা মামলাটি গত বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে শামসুদ্দোহা সাদী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় তিনি আদালতকে বলেন, ‘জুনিয়র-সিনিয়র’ বিরোধের জেরেই আরিফুলকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন। তাঁরা একই কলেজে পড়লেও শামসুদ্দোহা আরিফুলের বড়। জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ নিয়ে আরিফুলের সঙ্গে বিরোধ ছিল শামসুদ্দোহার। এরই জেরে ২১ অক্টোবর কলেজে আসার পর আগে থেকেই কলেজে অবস্থান করা শামসুদ্দোহা আরিফুলের ঊরুতে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর পালিয়ে যান তিনি।
সাদীকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর মিরাবাজার এলাকায় সিলেট জেলা ও মহানগর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা নিজ কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিং করেন। এ সময় তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শামসুদ্দোহাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে সিআইডি। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম হাজীপুর এলাকার একটি ডোবা থেকে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুজ্ঞান চাকমা বলেন, নিহত আরিফুল ও শামসুদ্দোহা সাদী ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকলেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রাজনৈতিক ছিল না বলে জানিয়েছেন শামসুদ্দোহা সাদী। জিজ্ঞাসাবাদে শামসুদ্দোহা বলেছেন, ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে এবং এতেই আরিফুলের মৃত্যু হয়েছে। মামলার অপর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলে জানান সুজ্ঞান চাকমা।
এদিকে আরিফুল হত্যা ঘটনার পর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত কলেজে পাঠদান বন্ধ ছিল। ঘটনার মূল অভিযুক্ত শামসুদ্দোহা গ্রেপ্তারের পর বুধবার থেকে কলেজে আবার পাঠদান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. শামছুল ইসলাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪