শেখ মো: আতিকুর রহমান আতিক, গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় জুয়া খেলার জন্য স্ত্রী কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে স্ত্রী কাকুলি রাণীকে (২৫) হত্যার পর লাশ হাসপাতালে রেখে ঘাতক স্বামী কল্লোল চন্দ্র মহন্ত পালিয়ে গেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এই ঘটনা ঘটে।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কর্মকর্তা মো. ওবাইদুল্লা জানান, সকালে স্বামী পরিচয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে এক নারীকে নিয়ে আসেন।
জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ খবর শুনে ওই নারীর স্বামী কৌশলে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
নিহত কাকুলি রাণী মহন্ত সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্ব কেশালিডাঙ্গা গ্রামের কল্লোব চন্দ্র মোহন্তের স্ত্রী ও পাশর্বর্তী রসুলপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন মহন্তের মেয়ে।
অভিযুক্ত কল্লোব চন্দ্র মহন্ত পূর্ব কেশালিডাঙ্গা গ্রামের শুকুল চন্দ্র মহন্তের ছেলে।
নিহত কাকুলির বড় ভাই মনোরঞ্জন মহন্ত বলেন, আড়াই বছর আগে কাকুলির সাথে কল্লোবের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানা যায়, কল্লোব জুয়া ও মাদকাসক্ত।তিনি আরও জানান, বিয়ের পর কল্লোব ও তার পরিবারের লোকজন কাকুলিকে যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
এছাড়া মাদক সেবন ও জুয়া খেলার জন্যও শশুর বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য কল্লোব স্ত্রী কাকুলিকে চাপ দিত।
ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে কল্লোব জুয়া খেলার জন্য তার স্ত্রী কাকুলি রাণীর নিকট টাকা চায়।
কাকুলি টাকা দিতে অস্বীকার করে।
এতে কল্লোব ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
কল্লোব লাশ গাইবান্ধা জেনারেল হাসাপাতালে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়।
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রদীপ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা চিত্তরঞ্জন মহন্ত থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।