আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহঃ
নেত্রকোণার কমলাকান্দায় সন্তানকে দেখতে এসে ১ম স্ত্রীর কুঁড়ালের আঘাতে শ্বশুরবাড়িতে স্বামী নিহত হয়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়।।নিহত রুক্কু মিয়া একই জেলার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,রুক্কু মিয়া ৩ বিয়ে করেছেন।১ম স্ত্রীর ঘরে তার ৯ বছর ও ৭ বছরের ২ মেয়ে সন্তান রয়েছে। জনা যায়,কন্যাদের দেখতে এসে প্রথম স্ত্রী’র কুঁড়ালের আঘাতে শ্বশুরবাড়িতে স্বামী নিহত হয়েছেন।স্ত্রী রুবিনাকে আটক করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামে।শনিবার সকাল ১১টার দিকে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ এবং এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর রুবিনাকে (২৮) আটক করা হয়েছে।রুবিনার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,দুই মাস আগে তাদের তালাক হয়েছে। আর নিহতের ছোট ভাই বলছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেনি।প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও মেয়েদের অনুরোধে তাদের দেখতে ঈদের দিন শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন।নেত্রকোণার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ফখরুজ্জামান জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।নিহত রুক্কু মিয়া (৩৫) নেত্রকোনার পুূর্বধলা উপজেলায় ঘাগড়া ইউনিয়নের লেটিরকান্দা গ্রামে মোঃ সামছুদ্দিনের ছেলে। রুক্কু মিয়া গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করতেন।ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন।নিহতের ছোট ভাই আসাদ মিয়া জানান, ঈদের আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও মেয়েদের জন্য টাকাও পাঠিয়েছিলেন। লেটিরকান্দায় ঈদের নামায শেষে স্ত্রী ও মেয়েরা ফোনে তাকে কৈলাটি গ্রামে আসার কথা বলে। তিনি তাদের দেখতে প্রথম স্ত্রী’র বাড়িতে দুপুরের দিকে রওনা দেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ভাইয়ের সাথে শেষ কথা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, খাবার শেষ এখন ঘুমিয়ে পড়বো। প্রায় তিনঘন্টা পর অর্থাৎ রাত ২টার দিকে ভাইয়ের মৃত্যুর কথা ভাবী’র বাবা ও ভাই ফোনে জানায়।আমরা এসে দেখি মাথার পিছনে ও কানের পাশ দিয়ে কয়েকটি আঘাত,শরীর রক্তাক্ত।কলমাকান্দা থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক জানান,ঘটনাস্থলে এসে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি নিহত রুক্কু মিয়া একাধিক বিয়ে করেছেন। ঈদের দিন সন্ধ্যায় প্রথম স্ত্রী’র বাবার বাড়িতে এসেছেন।দুই মাস আগে তাদের তালাক হয়েছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রথম স্ত্রী রুবিনাকে আটক ও কুঁড়ালটি জব্দ করা হয়েছে।নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ফখরুজ্জামান জুয়েল জানান,খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসী সহ আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।