বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি:
যশোর শহরের ঘোপ বৌ বাজার এলাকায় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগের নির্দেশে পারভেজকে (২০) খুন করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় এই কথা উল্লেখ করেছেন নিহতের পিতা তোতা মিয়া। মামলায় প্রার্থী সোহাগসহ মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন ঘোপ বৌ বাজার এলাকার জলিল হাওলাদারের ছেলে নূর আলম (৩০), ডিআইজি রোডের নান্টু (২৮), বদ্দিন (২৮), জুলফি (৩১) এবং ঘোপ বৌ বাজার হলদী ওয়ালার বাড়ির নজরুল (২০)। সদর উপজেলার বাহাদুরপুর পূর্বপাড়ার তুতা বিশ্বাস (৫৮) এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার একমাত্র ছেলে কেরাম বোর্ড তৈরি করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে । আসামিদের সাথে সে ঘোরাফেরা করতো। তাদের সাথে শত্রুতা তৈরি হয়। এই কারণে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোহাগ ঘো বৌ বাজার এলাকার তসলিমের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় আসামি সোহাগের নিদের্শে অন্যান্য আসামি তাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। কিছু বোঝার আগেই আসামিরা তাকে হাসুয়া, দা, চাকু নিয়ে কোপাতে থাকে। সে সময় পারভেজ দৌড়ে তসলিমের বাড়ির মধ্যে গেলে আসামিরা বাড়ির মধ্যে ঢুকে পারভেজকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। সে সময় চিৎকার দিলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মামলার আসামি কাউন্সিলর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহাগ মঙ্গলবার রাতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার দাবি, পারভেজ তার কর্মী। তিনি পানির বোতল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সোহাগকে জখমের খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। পারভেজের অবস্থা দেখে তিনি আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন। তাকে আসামি করার বিষয়টি তার জানা নেই। কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ৬ আসামির মধ্যে সোহাগ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।