আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর:ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় নিখোঁজের ১ দিন পর শিশু অটোরিকশা চালক সিয়াম হোসেন (১৩) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করার পর তার হত্যাকারীদের ও গ্রেফতার করা হল। ঢাকা-হালুয়াঘাট মহাসড়কের কাকনী হাওর এলাকার ব্রিজের নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে হয় মামলা। ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ৩ দিনের মাথায় খুনিদের গ্রেফতার করে লুন্ঠিত অটোরিকশা উদ্ধার করে।
নিহত যুবক ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের মারাদেওড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল সিয়াম। বাবার সাথে সংসারের হাল ধরতে অটোভ্যান চালিয়ে সংসার চালাত নিহত এ যুবক। করোনার প্রভাবে মাদরাসা বন্ধ থাকায় লেখাপড়ার পাশাপাশি অটোভ্যানের টাকায় সংসারে কাজে লাগাত এই শিশু শ্রমিক।
তারাকান্দা থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো অটোভ্যান নিয়ে বের হয় সিয়াম। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খুঁজতে থাকে। অবশেষে আজ তারাকান্দার কাকনী হাওড় এলাকায় ব্রিজের নিচে সকালে মাটিতে বস্তা দিয়ে পুঁতে রাখা লাশ শনাক্ত করা হয় এ শিশু শ্রমিকের। এ ব্যপারে ফুলপুর থানায় অজ্ঞাত আসামী দিয়ে একটি মামলা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বড় শুনই চক হরিরামপুর এর খায়রুল (১৬) ও মিজানুর রহমান মেজু (১৭) গ্রেফতার করে। সিয়ামকে হত্যা করে তারা ঢাকার কেরানীগজ্ঞ চলে যায়। প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। কিশোর ২ ভয়ংকর খুনি তাদের পরিকল্পনা মতেই সিয়ামকে হত্যা করে ভ্যান লুটে নেয়।
মামলাটি খুব গুরুত্বে সাথে দেখেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থার পুলিশ। পুলিশ পরিদর্শক শাহ কামালের নেতৃত্বে এস আই পরিমল সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে, ঘটনার ৩ দিনের মাথায় গোয়েন্দা পুলিশ খুনি সনাক্ত করে ২ জনকে গ্রেফতার করে। আর তাদের কথামত ময়মনসিংহ শহরের রেলীর মোড় থেকে তাদের বিক্রীত নিহত সিয়ামের ভ্যান রতন কুমার সাহার হেফাজত থেকে উদ্ধার করে।