1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

ডিবির ওসি জাকির ও এসআই আশরাফের হয়রানি থেকে বাঁচতে মানববন্ধ

  • সময় : শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩৪৩

কাওসার হামিদ,তালতলী প্রতিনিধিঃ

বরগুনার তালতলীতে নোথায়ং মগ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকার নিরীহ ইউনুচ ও ইউসুফকে কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলক আটক করেন । পরে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও রিমান্ডে অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি খন্দকার জাকির হোসেন ও এসআই আশরাফের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার(০১ জানুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার নামেশে পাড়া এলাকায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ তাদের হয়রানি থেকে বাঁচতে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০১৭ সালের জুন মাসের ২২ তারিখ উপজেলার নামেশে পাড়া এলাকায় নোথায়ং মগ নামের ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।এরপরে তালতলী থানায় মৃত্যু নোথায়ং মগের নাতি জোয়েন মগ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। যে খানে আসামী করা হয় একই এলাকার শাহআলম মীর,ইলিয়াস মীর,আল-আমিন মীর ও নজরুল কে।কিছুদিন পরে সরাসরি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আমতলী কোর্টে। যেখানে ঐ ৪ জন ছাড়াও আসামী করা হয় শাহ আলম মীরের স্ত্রী ফাতেমা,আঃ হক দফাদার ও ছগির কে। পরে মামলাটি ৫০২ডি(১) আনুযায়ী এস্টে করায় বাদী আফ্রুসে মগ বরগুনা বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ফৌঃ রিভিশন মামলা দায়ের করেন। ফৌঃ রিভিশন শুনানির পরে জোয়েন মগের মামলার সাথে এড করে তালতলী থানার অফির্সাস ইনচার্জকে তদন্ত নির্দেশ দেয় আদালত। পরে মামলাটি ডিবিতে বদলী হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফ উদ্দিন ও অফিসার ইনচার্জ খন্দকার জাকির হোসেন বাদী জোয়েন ও বাদী আফ্রুসে মগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে একটি প্রভাবশালীর মহলের কাছে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত হইয়া এই মামলার সাথে কোনো সর্ম্পক নেই ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীকে গত ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর মাসে আটক করে আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ঐ ওসি জাকির ও এসআই আশরাফ সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।পরে পরিবার থেকে ছোটভাই ইদ্রিস মুন্সী যোগাযোগ করলে তারা জানায় তোমার ভাইকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনে হাত থেকে বাঁচাতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।পরে নিরুপায় হয়ে ৪০ হাজার টাকা দেই তাদের। কিন্তু ঘুষ পেয়েও ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীকে রিমান্ডে নিয়ে পুষাঙ্গে গলিত মোম ও অমানুষিক র্নিযাতন করে এই মামলার স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।
বক্ত্যরা আরও বলেন, এলাকায় নিরীহ লোকদের ডিবির ওসি জাকির ও এসআই আশরাফ বিভিন্ন সময়ে হয়রানি করে আসছে। এ হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইছে মানববন্ধনে আসা ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ। পাশাপাশি ওসি জাকির ও এসআই আশরাফের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত করে বিচারের দাবি করেন। আর নির্দোষ ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীকে দ্রুত মুক্তি ও এই দাবি করেন তারা।

এবিষয়ে ডিবির ওসি খন্দকার জাকির হোসেন বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ এনে মানববন্ধর করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি হত্যা মামলার তদন্ত সাপেক্ষ প্রমান পেলে ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহলের চক্রান্তে এস করা হচ্ছে। ইউসুফ মুন্সী ও ইউনুচ মুন্সীকে কোনো ধরণে নির্যাতন ও তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লীক বলেন,এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সতত্যা পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪