রোজায় খাবারের সময়ে যেমন পরিবর্তন আসে ঠিক মেন্যুতেও নানা ভাজাপোড়া যুক্ত হয়।এসব ভাজাপোড়া খাবার শরীরের জন্য মোটেও সুখকর নয়।এতে করে রোজায় সারাদিন না খেয়ে থেকেও অনেকেই ওজন ঝরাতে পারেন না।মনে রাখতে হবে, ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই কিন্তু সহজেই ওজন ঝরানো সম্ভব।রোজা প্রায় শেষের দিকে এই সময়টাতে ইফতারে তোকমা খেয়ে সহজেই অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নিতে পারেন।
তোকমায় রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।এছাড়া এর নানা উপাদান দেহের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা বাড়তি ক্ষুধা দূর করে এবং পেট দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ থাকার অনুভূতি দেয়।তোকমা গরমকালে দেহের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করে।এছাড়াও কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকর তোকমা।কীভাবে তোকমা খাবেন জেনে নিন সকালে দুই কাপ পানিতে দুই চা চামচ তোকমা দানা ভিজিয়ে রাখুন।তাহলে তোকমা দানাগুলো ভালোভাবে ফুলে উঠবে।এবার ইফতারের সময় আপনি যে কোনো ধরনের সিজনাল ফল মিশিয়ে নিন।তোকমা যদি বেশি ঘন হয়ে যায় তাহলে আধা কাপ দুধ মেশাতে পারেন।এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।শুধু ইফতার কেন, রোজার মাস চলে গেলে প্রতিদিন সকালের নাস্তা হিসেবে আপনি তোকমা এভাবে খেতে পারেন।এভাবে ১০ দিন খেলেই আপনি নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।ইফতারের পর অবশ্যই এক কাপ গ্রিন টি খেতে ভুলবেন না।এর এক ঘণ্টা পর যে কোনো ফল খাবেন অথবা এক বাটি সালাদ পাতে রাখতে পারেন। শসা, গাজর, বিট, ধনে পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন।রাতে ভাতের সঙ্গে মাছ, সবজি, ডাল সবকিছু খেতে পারবেন তবে তা অল্প পরিমাণে।তোকমা ডায়েট করার সময় গরু অথবা খাসির মাংস খাওয়া উচিত নয়।এতে ওজন কমতে সময় বেশি লাগবে। রাতের খাবারের পর আরেক কাপ গ্রিন টি পান করুন। আপনি রোজার পর এই নিয়মে দুপুরে খাবেন।এবার সেহরির পালা। যথারীতি শাক-সবজি, মাছ বা ডালসহ ভাত বা রুটি অল্প পরিমাণে খাবেন।খাওয়ার পর গ্রিন টি পান করুন।রোজার পর এই নিয়মে রাত ৮ টার মধ্যে আপনি ডিনার শেষ করবেন।এই নিয়ম মানলে এক মাসে আপনি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন কমাতে পারবেন।