গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় হৃদয় (১২) নামের এক শিশুকে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা চুরি করেছিল ইমন (১৯) নামের এক যুবক। শনিবার (৬ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার এবং ঘাতক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত হৃদয় শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদের ফকিরবাড়ির মো. সেলিমের ছেলে। ইমন একই এলাকার সুমন মিয়ার ছেলে। সে আটোরিকশার মেকানিক। শ্রীপুর মডেল থানার এসআই আশিষ কুমার জানান, শনিবার বিকেলে হৃদয় তার চাচার অটোরিকশা নিয়ে ড্রাইভিং শিখতে বের হয়। পথে ইমন তাকে অটোরিকশার ব্যাটারি কেনার কথা বলে শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হৃদয়কে হত্যা করে সে। পরে অটোরিকশাটি বিক্রি করতে একই উপজেলার বরমী বাজারে যায় ইমন। ক্রেতা অটোরিকশার কাগজপত্র চাইলে ইমন তা দিয়ে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে ক্রেতা ফোনে ইমনের মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন যে, ইমনের কোনো অটোরিকশা নেই। এ সময় স্থানীয়রা ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এদিকে, রাত ১০টা পর্যন্ত হৃদয়ের খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হৃদয়কে নয়নপুর জঙ্গলে ফেলে আসার কথা জানায় ইমন। জঙ্গলে হৃদয়ের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। এসআই আরো জানান, শ্বাসরোধে হত্যা করে হৃদয়ের মাথা মাটির ভিতর ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।