যাঁরা নিয়মিত সাজগোজ করেন, তাঁদের কাছে মেক-আপ ব্রাশের গুরুত্ব আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু অনেকেরই অভ্যেসই থাকে যে, মেক-আপ করার পর ব্রাশটাকে সেভাবেই রেখে দেওয়া। কিন্তু ভুলেও একাজ করবেন না। পুরনো মেক-আপ লেগে থাকা ব্রাশ হাজারও জীবাণুর আঁতুড়ঘর! সুতরাং তা নিয়মিত ত্বকের সংস্পর্শে এলে কতটা ক্ষতি হতে পারে, নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
এখন আপাতত বাড়ি থেকে বেরনোর প্রয়োজন না পড়লেও মেক-আপের ক্ষেত্রে হাইজিন মেনে চলা কিন্তু বাঞ্ছনীয়। বিশেষ করে বিউটি ব্লগাররা যাঁরা এই সময়ে নিয়মিত মেক-আপ কৌশলের পাঠ দিচ্ছেন। তা কীভাবে পরিষ্কার রাখবেন আপনার মেক-আপ ব্রাশ, তাই তো? তার কিছু সহজ টিপস বাতলে দিলাম।
প্রথমেই বলব, মেক-আপ যতই দামি হোক, পরিষ্কার মেক-আপ টুলস ছাড়া কিন্তু তা মূল্যহীন! ত্বকের ক্ষতি আটকাতে মেক-আপ ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার করুন। প্রথমে একটা পাত্রে শ্যাম্পু, খানিক অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইড ফেলে গুলে নিন। এবার সব অপরিষ্কার ব্রাশ তাতে ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে কোনও অমসৃণ জায়গায় ঘষে নিয়ে এরপর আলতো করে চেপে চেপে জলে ধুয়ে ফেলুন।
ব্যস পরিষ্কার আপনার মেক-অপ ব্রাশ। ব্রাশ থেকে জীবাণু দূর করতে চাইলে এক বাটি জলে খানিকটা অ্যান্টিসেপ্টিক এবং টি-ট্রি অয়েল ফেলে তাতে ব্রাশ ডুবিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় বাটিটা ২ মিনিট মাইক্রো করে নিতে পারেন। বা জল গরম করে তা হালকা গরম জলে ডুবিয়েও রাখতে পারেন। ভেজা ব্রাশ কখনও তুলে রাখবেন না। জলে ধোয়ার পর সেগুলো পাতলা কাপড়ে জড়িয়ে রোদে রেখে দিন।
শুকিয়ে গেলেই দেখবেন ব্রাশ একেবারে ঝকঝক করছে। আর যাঁরা ব্রাশ ক্লিনার ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে তো পরিষ্কারের পদ্ধতি আরও সহজ। তবে মনে রাখবেন শুধু মেক-আপ ব্রাশ নয়, মেক-আপ স্পঞ্জ ব্যবহার করলেও এক্ষেত্রে পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়।
হালকা গরম জলে মাইল্ড সাবান বা শ্যাম্পুতে ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার করে নিন। এরপর শুকিয়ে নিন।