1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নাগরিক জীবনে সর্বত্রই পুলিশের অবদান রয়েছে- ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেন-ইসরায়েলের সহায়তা বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর আবারও সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর সম্পন্ন চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের নিকট প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ-ওবায়দুল কাদের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত র‌্যাবের নয়া মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম

“আমাকে নিয়ে গসিপ করার মত কাজ আমি করিনা ” -মিম চৌধুরী

  • সময় : রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৯৩১

বাংলাদেশ বুলেটিন ২৪.কমের নিয়মিত বিনোদন আড্ডায় বিনোদন অঙ্গনের একজন শিল্পী, কলাকুশলী আমাদের অতিথি হয়ে আসেন। আমাদের আজকের অতিথি নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী, উপস্থাপক সিলোয়ানা আফরিন মিম চৌধুরী। যাকে সবাই মিম চৌধুরী নামেই চিনে।

শান্ত: লকডাউনের এই সময়ে কেমন ছিলেন বা এখন কেমন আছেন?

মিম চৌধুরী : আমরা বা আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম কেউই কিন্তু এর আগে এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। আর এই বিষয় টি এমন নয় যে শুধুমাত্র আমাদের দেশ স্থবির হয়ে গিয়েছে পুরো পৃথিবী কিন্তু থমকে গিয়েছিল। তাই প্রথম দিকের সেই অভিজ্ঞতা খুব ভয়াবহ ছিল। এখন আস্তে ধীরে সব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। আমরাও যার যার কর্মক্ষেত্রে ফিরতে শুরু করেছি। লকডাউন এর সময়টা যথা সম্ভব বাসায় থাকার চেষ্টা করেছি। বাসায় বসে নাচের অনুশীলন করেছি। তখন যেহেতু বাসার হেল্পিং হ্যান্ড যারা ছিলেন তারও আসতে পারেননি তাই বাসার কাজে সাহায্য করেছি। ভালো কিছু সিনেমা দেখেছি।

শান্ত : সবাই আস্তে আস্তে কাজে কর্মে ফিরছেন আপনার কি অবস্থা।

মিম চৌধুরী : হ্যা বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে আবার শুটিং শুরু হয়েছে। সবাই কাজে ফিরছি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন মিডিয়া সেক্টরের কাজের সাথে কয়েক লক্ষ পরিবার জড়িত। আমরা যারা পুরোপুরি মিডিয়ার কাজকে প্রফেশন হিসেবে নিয়েছি,

সেটা হোক অভিনয় করা কিংবা টেকনিক্যাল সাইডে কাজ করা যাই হোক না কেন আমাদেরও তো জীবন জীবিকা আছে তার জন্য কাজ করতেই হবে। যারা অফিস আদালতে কাজ করেন তাদের হয়ত কিছু কাজ বাসায় বসেও করা সম্ভব কিন্তু মিডিয়ার কাজটি টিম ওয়ার্ক। এখানে একজন প্রোডাকশন বয় থেকে শুরু করে অভিনেতা পরিচালক, ক্যামেরা, লাইট, মেকাপ সবার কিন্তু সরাসরি ইনভলভমেন্টে একটি কাজ শেষ হয়।

আমাদের সবারই পরিবার আছে। দৈনন্দিন খরচের বিষয় আছে, তাই কাজে তো ফিরতেই হবে। আমিও তাই যতটা সম্ভব নিরাপত্তা বজায় রেখে আবার শুটিং এ অংশ নিচ্ছি কাজ করছি। ঈদের বেশ কিছু কাজ করেছিলাম সেগুলো প্রচারিত হয়েছে। ঈদের পর থেকে একটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ শুরু করেছি। আর আগে থেকেই আমার একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হচ্ছিল তার শুটিং ও করছি।

শান্ত : মিডিয়ায় পথচলার গল্পটা একটু জানতে চাই।

মিম চৌধুরী : ২০১১ সালে বাংলাভিশনে “ম্যাঙ্গোলী নাচো বাংলাদেশ নাচো ” নামে একটি নাচের প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠান হয়েছিল। এর গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে, আমি সেখানে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলাম। যদিও আমি ছোটবেলা থেকেই নাচ শিখেছি কিন্তু এই প্রতিযোগীতার পর থেকেই মিডায়ায় আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ করা শুরু।

শান্ত : আপনি শাকিব খানের মত সুপার স্টারের সাথে নায়িকা হয়ে সিনেমায় পথ চলা শুরু করেছিলেন , তার পরেও সেইভাবে চলচ্চিত্রে আপনাকে কেন পাওয়া গেলনা।

মিম চৌধুরী : আমি খুবই গর্বের সঙ্গে বলি যে, আমাদের বাংলা সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে আমার প্রথম সিনেমা করা। সিনেমাটি ব্যবসায়িক ভাবে খুব ভালো করেছিলো। আপনার তার পরের প্রশ্নটি ছিলো আমাকে সেভাবে কেন আর পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে দেখা গেলনা কেন। তার উত্তর হচ্ছে, অনেকেই হয়ত জানেন না যখন আমি প্রথম সিনেমায় অভিনয় করি তখন আমি মাত্র দশম শ্রেণীতে পড়ি তাহলে ভাবুন তখন আমার বয়স কত। সিনেমা আমাদের বিনোদন মাধ্যম গুলোর মধ্যে সব থেকে বড় মাধ্যম, সেখানে কাজ করতে গেলে প্রত্যেকের অনেক দায়িত্ব পরায়ন হতে হয়।

ঐ বয়সে এত কিছু বোঝার মত পরিপক্বতা আমার হয়নি। সব থেকে বড় বিষয় ছিলো পড়াশোনা করা, আমি তখন বেশ কিছু ভালো সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম কিন্তু কোন ভাবেই আমি পড়ালেখার ক্ষতি করতে চাইনি। তাই সবাইকে বিনয়ের সাথে না করেছিলাম। এখনো আমার গ্রাজুয়েশন শেষের দিকে, এবং আমার কাছে পড়াশুনার মূল্যটা অনেক বেশি।

শান্ত : নৃত্যশিল্পী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে সেখানেও আপনাকে সেভাবে পাওয়া যাচ্ছেনা কেন?

মিম চৌধুরী : আমি প্রথম থেকেই নাচের বিষয়ে খুব সিরিয়াস। কারন আমার শুরুটা নাচ দিয়ে। এটি আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। আমি নিয়মিত ভাবেই নাচের অনুষ্ঠান করে যাচ্ছি কিন্তু অসুবিধেটা হয়েছে কি জানেন, আমাদের দেশে নৃত শিল্পীদের জন্য সেভাবে এখনো প্লাটফর্মটি তৈরী হয়নি অথবা অন্যভাবে বললে এর প্রচারনা সেভাবে করা হয়না তাই এই অঙ্গনের লোকজনের বাইরে সেভাবে আমাদের কাজ গুলো সম্পর্কে লোকজন সেভাবে জানতে পারেন না। আমি আবারও বলছি আমি নিজেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে খুব ভালোবাসি।

শান্ত : পাশের দেশেই নেপটিজম নিয়ে অনেকেই সরব আপনার মতামত জানতে চাই।

মিম চৌধুরী : শান্ত ভাই নেপটিজম সব সময় ছিল। আপনি যখন গভীর ভাবে পর্যালোচনা করবেন দেখবেন অতীতেও নেপটিজম ছিল এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও হয়ত থাকবে কিন্তু এটাও দেখবেন যে, যার মেধা আছে যার সততা আছে, সিনসিয়ারিটি আছে দিন শেষে সেই টিকে থাকবে। মিডিয়াকে আপনি আপনার মেধা শ্রম দিবেন মিডিয়া আপনাকে তার ফিডব্যাক দিবে।

শান্ত : বর্তমানে কি কি কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

মিম চৌধুরী : বর্তমানে একুশে টিভির “খানবাড়ি বাড়াবাড়ি ” নাটকের কাজ করছি। এটি পরিচালনা করেছেন সকাল আহম্মেদ। আর এ ছাড়া দীপ্ত টিভির জন্য “আগুন পাখি” নামের একটি মেগাসিরিয়ালের শুটিং করছি। পারভেজ আমীনের পরিচালনায় কাজটি খুবই যত্ন সহকারে এবং সময় নিয়ে তৈরি হচ্ছে। এই নাটকটি একটি পিরিয়ডিক নাটক। তাই সেই সময়কে ধরে মেকাপ গেটাপ সব গুছিয়ে কাজটি হচ্ছে আমার খুব পছন্দের কাজ এটি। আমার বিশ্বাস নাটকটির প্রচার শুরু হলে দর্শকদের খুব ভালো লাগবে।

শান্ত : আপনার পরিবার সম্পর্কে একটু জানতে চাই।

মিম চৌধুরী : আমার খুব ছোট্টো একটি পরিবার। বাবা, মা, ছোট ভাই আর আমি এই নিয়ে আমাদের পরিবার। বাবা তার প্রফেশনের পাশাপাশি গান করেন মা নাচ করতেন। ছোট ভাই সেও খুব ভালো গান করে। আমাদের পুরো পরিবারই সংস্কৃতিমনা তাই আমাদের আড্ডাটাও খুব জমজমাট হয়। তারা সবাই আমার কাজকে সম্মানের চোখে দেখে। তারা আমাকে খুব সাপোর্ট করে।

শান্ত: আপনাকে নিয়ে গসিপ নেই। অনেকেই বলেন আপনি অনেক বুদ্ধিমতি আপনি খুব সুকৌশলে এসব বিষয় হ্যান্ডেল করেন। আপনার মতামত কি?

মিম চৌধুরী : হাহা গসিপ তো গসিপ ই। গসিপ না থাকাইতো ভালো। আর আমি এমন কিছু করিনা যে আমাকে নিয়ে গসিপ হবে। আমি গত দুই বছর যাবৎ মিডিয়া থেকে দূরে ছিলাম। আমি ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সে চাকুরী করেছি। কিন্তু তখন আমি পড়ালেখা কন্টিনিউ করতে পারছিলাম না তাই চাকুরী টা ছেড়েছি। আবার আমি অভিনয় শুরু করেছি।

আর বুদ্ধিমতি কিনা সেটা জানিনা কিন্তু আমি আমার কাজটি খুব সততার সাথে করি, সবার সাথে ভালো ব্যবহার করি। সবাইকে নিয়ে সুখি থাকতে চাই।জীবন কে খুব সাধারন ভাবে দেখি এবং প্রতিটি মুহূর্ত সবাইকে নিয়ে আনন্দে কাটাতে চাই।

শান্ত : তথাকথিত বা এফডিসি কেন্দ্রিক বানিজ্যক সিনেমায় আপনাকে পাওয়া যায়নি সেভাবে। কেন?

মিম চৌধুরী : আমি আগেই আপনাকে বলেছি যে আমি যখন প্রথম সিনেমা করি তখন ক্লাশ টেন এ পড়ি আমি। তখন ভালো মন্দ বোঝার মত বয়স হয়নি। তাছাড়া পড়ালেখাটা কোন ভাবেই নষ্ট করতে চাইনি। এখন যদি আবার ভালো কোন কাজের অফার আসে সব মিলে গেলে অবশ্যই করব।

শান্ত: সিনেমায় ফেরার আর কোন সম্ভাবনা আছে কি না?

মিম চৌধুরী : সিনেমা অনেক বড় মাধ্যম, একটি ভালো সিনেমা একজন আর্টিস্টকে দীর্ঘদিন বাচিয়ে রাখে। আমিও সিনেমা করতে চাই। তবে বর্তমানে আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় নিচ্ছি। প্রতিনিয়তই সিনেমায় অভিনয় করার প্রস্তাব পাচ্ছি দোয়া করবেন আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা আবার ভালো হোক আমরাও আবার যেন ভালো কিছু কাজ করতে পারি।

শান্ত : এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের সময় দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ বুলেটিন ২৪.কমের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মিম চৌধুরী : আপনাকে এবং বাংলাদেশ বুলেটিন ২৪ পুরো পরিবারকে আমার ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪