চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ডামারার এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট সংলগ্ন বেড়ি বাঁধের বাহিরে বিসিকের ঘোনা বালুচর থেকে ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক যুবকের তাজা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
লাশটির পকেট থেকে কুমিরা, সীতাকুন্ডের ঝুলন দাশ নামে একটি এনআইডি কার্ড পাওয়া যায়।৩ জুলাই, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় গ্রামবাসীদের কাঁছ থেকে খবর পেয়ে স্থানীয় এসএস পাওয়ার পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই আরিফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রত ঘটনাস্থলে হাজীর হয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় প্রেরন করেছে।
এসআই আরিফের কাঁছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ১ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গিয় ফোর্স সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজীর হয়ে বাঁশখালী থানার অফিস ইনচার্জ স্যারের নির্দেশে লাশ থানায় পাটানোর ব্যবস্থা করেছি, লাশটি কিভাবে কোথায় মারা গেছে এবং এখানে কিভাবে এল তা প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া আপাতত বলতে পারছিনা।বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পশ্চিম গন্ডামারার বিসিকের ঘোনা বালুচরে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়েছি।
তবে কিভাবে যুবকটি মারা গেল এবং কি তার পরিচয় অনুসন্ধান ছাড়া আপাতত কোন তথ্য জানাতে অপারগতা পেশ করে ওসি রেজাউল করিম মজুমদার।স্থানীয় গ্রামবাসীদে ধারনা, যুবকটি এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের শ্রমিকও হতে পারে।
যুবকটির মুখে ফেনা জাতীয় কিছু দেখতে পেয়েছেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শিরা্।কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডের লকডাউন প্রত্যাহার রফিক সরকার, গাজীপুরকরোনার হটস্পট গাজীপুরে সংক্রমণ মোকাবেলায় কালীগঞ্জ পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া লকডাউন শনিবার (০৪ জুলাই) থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইউএনও মো. শিবলী সাদিক। ইউএনও জানান, সংক্রমণের হার বিবেচনায় এনে জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫ এবং ৬ নং ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
রেড জোন এলাকায় সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গত মাসের ১২ জুন রাত ১২ টা থেকে ওই ৩টি ওয়ার্ড লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব মতে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ১৪৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৪৯ জন।জানা গেছে, কালীগঞ্জে গত ২৮ জুন ও ১ জুলাই ৭৮ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষার পর বুধবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
নতুন আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে ৪ জন পৌর এলাকার এবং একজন জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ নিয়ে উপজেলায় মোট ৩২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ উপজেলার মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কালীগঞ্জে এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৪৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা থেকে ৩৩৭ জন নারী-পুরুষের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তবে আক্রান্তদের থেকে ইতোমধ্যে ২৩৮ জন করোনাজয় করে ঘরে ফিরেছেন।