1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন

বোয়ালমারীতে পৃথক ৫টি সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট আহত ৫০ আটক ১০

  • সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০
  • ২৫২

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পৃথক ৫টি সংঘর্ষে বাড়ীঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুনবহা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ছিরুসহ ১০জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।


জানা যায়, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দাউদ মেম্বার ও গুনবহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ছিরু’র মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার (২৮.০৫.২০) সকালে সিরাজুল ইসলাম ছিরু’র সমর্থকরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে দাউদের সমর্থকদের বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে ১৮ জন আহত হয়।


অপরদিকে একই দিন সকাল ৬টায় উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষ, বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য জালাল সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য রহমান শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ২৮ মে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় রহমান গ্রুপের সমর্থক ইমদাদুল খা (৩৫) বনচাকী কবরস্থান থেকে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরার পথে রামচন্দ্রপুর বাজারে পৌছালে জালাল সিকদারের সমর্থকরা তার উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে। এর রেশ ধরে সকাল সাড়ে ৯টায় জালাল সিকদারের সমর্থকরা দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষের প্রায় ৪০টি বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে রহমান গ্রুপের ২০ সমর্থক আহত হয়।


অন্যদিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বাজিদাদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দাদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম মোল্যা ও মওলা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে ইসহাক মোল্যা (৫৫) ও জাহাঙ্গীর মোল্যা (৫০)সহ ৭ জন আহত হয়। একইদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বোয়ালমারী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কুশাডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৫ জন আহত হয়েছে।


অন্যদিকে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর ও দীঘিরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। গুনবহা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন ও গুনবহা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বাকিয়ার মোল্যার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর রেশ ধরে ২৭ মে বুধবার বিকেলে সাহেব আলীর নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক প্রতিপক্ষ বাকিয়ার মোল্যার সমর্থকদের বাড়ীঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে।


এসব সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত ইসহাক মোল্যা (৫০), আইয়ুব মোল্যা (৬৫), হাসমত (৩৮), লিয়াকত মোল্যা (৬৫), পান্নু আমিন (৪৫), রাফেজা বেগম (২৮), তাসলিমা (৩০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।


বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে ৪টি সংঘর্ষের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠাই। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ আছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।


একই দিন কাছাকাছি সময়ে এতগুলো সংঘর্ষের ঘটনা জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।দেশ যেখানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে ঠিক তখনই এই সংঘর্ষ ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪