1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭ অপরাহ্ন

পাবনায় তিনটি বাঘ শাবক উদ্ধার

  • সময় : বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০
  • ৩০০

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের খিদিরপুর হাড়লপাড়া থেকে ৩টি মেছো বাঘের ছানা উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে ছানাগুলো উদ্ধার করে পাবনার সামাজিক বন বিভাগ।

পরে গতকাল সকালে রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার আটঘরিয়া উপজেলার হাড়লপাড়া গ্রামে নেপিয়ার ঘাসের জমিতে মেছো বাঘের ছানাদের পড়ে থাকতে দেখেন মৃত মফিজ উদ্দিন খানের ছেলে জাফর ইকবাল। তারপর তিনি স্থানীয় সংগঠন ও বন বিভাগের নম্বরে ফোন করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।

খবর পেয়ে জেলা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার রঞ্জিবুল আমিন ও ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া উপজেলার বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছানা তিনটি উদ্ধার করেন।পাবনার সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে ফোন পেয়েই দ্রত আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করি।

তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সপ্তাহ খানেক আগে এই বাচ্চাগুলো জন্ম নিয়েছেন। বাচ্চাগুলো খুব ছোট হওয়ায় আমরা ফিডারে করে দুধ পান করিয়েছি। রাজশাহী অফিসের বন্যপ্রানী বিভাগের পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার জন্য তাদের সাথে কথা বলে গাড়িতে করে বিকেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পাবনার প্রকৃতি ও বন্যপ্রানী বিষয়ক সংগঠন নেচার এ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন কমিউনিটি (এনডাবিøউসিসি) এর সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ ডি স্থানীয়দের ফোনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছানাগুলো দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি বাচ্চাগুলো মেছোবাঘের।

এলাকা ভেদে এরা বাঘরোল বা মেছো বিড়াল নামেও পরিচিত। তিনি বলেন, এগুলোর ইংরেজি নাম বৈজ্ঞানিক নাম মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী এরা। তিনি আরও বলেন, বিগত কয়েক দশক আগেই বাঘরোলের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তথ্যমতে, ২০০৮ সালে মেছোবাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে আইইউসিএন।

বাংলাদেশে ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। বাঘরোল সাধারণত নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া ও জলাভূমিতে বাস করে। এরা সাঁতারে পারদর্শী হওয়ায় এ ধরনের পরিবেশে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে। এদের গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকার জন্য চিতাবাঘ বলেও ভুল করে অনেকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪