স্টাফ রিপোর্টার-
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকার চাঞ্চল্যকর সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। একইসঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রাব্বিকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে যশোর মনিরামপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
জিয়াউর রহমান জানান, গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় ইয়াকুব আলীর বাসা থেকে ভাড়াটিয়া সুমাইয়া (২০) নামে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে গত ১২ জানুয়ারি আশুলিয়া থানায় সুমাইয়ার স্বামী শেখ রাব্বি হোসেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় মূলহোতা শেখ রাব্বি হোসেনকে যশোর জেলার মনিরামপুরের রহিত শেখপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শেখ রাব্বী হোসেন গত তিন বছর পূর্বে গামেন্টস এ কর্মরত থাকাকালীন সময়ে নিহত সুমাইয়ার সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হলে তারা পরে বিয়ে করেন। বিবাহের প্রায় দুই বছর পর তাদের মাঝে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাক-বিতণ্ডা এবং কলহ লেগে থাকতো। ঘটনার দিন গত ১১ জানুয়ারি দুপুর বেলায় শেখ রাব্বীর সঙ্গে সুমাইয়া আক্তার পুনরায় পারিবারিক বিষয়ে বাক-বিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে শেখ রাব্বীর ক্ষিপ্ত হয়ে সুমাইয়ার গলা টিপে শ্বাস রোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর সেই বাসায় তালা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে আত্মগোপন করেন রাব্বী। এরপর থেকে আত্মগোপনে থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন তিনি।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সুমাইয়া আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে শেখ রাব্বী। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।