1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচনে কোন কেন্দ্রে জাল ভোট হলে তাৎক্ষণিক ভোটগ্রহণ বন্ধ- ইসি হাবিব নৌ সদর দপ্তরের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন আশুলিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা, ২ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় নিহত ৩ ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে-ওবায়দুল কাদের তীব্র তাপ প্রবাহের সাথে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ

সাভারে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ জংয়ের সমর্থক পলককে তুলে নেওয়ার চেষ্টা

  • সময় : শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৮৩

সোহেল রানা

ঢাকা ১৯ : (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সদর ইউনিয়নের চাঁপাইন এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের ঈগল প্রতীকের সমর্থক এক ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা.এনামুর রহমানের সমর্থকরা।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৯ টা ৩৫ মিনিটে সদর ইউনিয়নের চাঁপাইন তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নৌকার সমর্থক সাভার সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেলের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত ছাত্রলীগ নেতা পলক খানকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। অভিযোগ রয়েছে এক সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও মাজহারুল ইসলাম রুবেল তার বোন জামাই সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীবের মাধ্যমে সম্প্রতি আওয়ামীলীগের একটি ইউনিয়ন কমিটিতে সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।

ঈগল প্রতীকের সমর্থক ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ নেতা হলেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পলক খান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের ঈগল প্রতীকের সমর্থক ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পলক খান তাদের চাঁপাইন তালতলা এলাকার নির্বাচনী অস্থায়ী কার্যালয়ে বসে ছিলেন। শনিবার রাত ৯ টা ৩৫ মিনিটের দিকে কার্যালয়ের সামনে একটি অফ হোয়াইট রঙের নোহা গাড়িতে করে আসেন সাভার সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেলসহ তার লোকজন। গাড়ি থেকে নেমে তার লোকজনদের প্রতি ছাত্রলীগ নেতা পলককে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এসময় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা এতে বাধা দেয়। পরে হট্টগোল সৃষ্টি হলে
উপস্থিত এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পালিয়ে যায় মাজহারুল ইসলাম রুবেলসহ তার সহযোগীরা।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ছাত্রলীগ নেতা পলক খানসহ ৩ জনকে আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে আহত ছাত্রলীগ নেতা পলক খান বলেন, পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে মাজহারুল ইসলাম রুবেল। তবে তার ষড়যন্ত্র কিছুতেই কাজে আসবে না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম রুবেলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এস আই) শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের হাতাহাতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’

এর আগেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ তৌহিদ জং মুরাদ এবং মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও হত্যার হুমকির অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে মাজহারুল ইসলাম রুবেল ও তার সমর্থক সাভার পৌরসভার কাতলাপুরের সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. বাবু ও পলাশকে গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক ৩টি নোটিশের মাধ্যমে তলব করা হয়। পরে ২৪ ডিসেম্বর লিখিত ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে পার পায় রুবেল সহ তার সহযোগীরা।

এসব ঘটনার মধ্যেই গত ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ তৌহিদ জং মুরাদের ঈগল প্রতীকের সমর্থক সাভার সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল রানার বাড়ির প্রধান ফটকে হামলা ও গেট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীবের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেয়। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানার কলমা এলাকার নিজ বাসভবনের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সাভার উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে হট্টগোল ও বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় ঘন্টাব্যাপী থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়, এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীবের সঙ্গে থাকা অনেককেই না চিনলেও তারা হেমায়েতপুর ও সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকার বাসিন্দা এবং সাভার উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রীর বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম রুবেলের অনুসারী বলে জানা যায়।

এদিকে পৃথক আরেকটি ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর শনিবার রাত ১১ টায় তালুকদার মো. তৌহিদ মুরাদের ঈগল প্রতীকের সমর্থক ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদকে পৌরসভার বনপুকুর এলাকায় তার বাসভবনে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও নৌকার সমর্থক মঞ্জুরুল আলম রাজীবের বিরুদ্ধে। তবে এ সময় ফয়সাল বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গেছে।

বা বু ম/ সুমন রায়

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪