1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

বাসা-বাড়িতে নারীসহ ইয়াবা সরবরাহের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

  • সময় : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১০৬

স্টাফ রিপোর্টার-

রাজধানীর বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে নারী ও ইয়াবা সাপ্লাইয়ের অভিযোগে ৩ নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সৌরভ ইসলাম, তাসনিয়া বেলা, চৈতি, সামিনা আলম নীলা, সাকিব আহম্মেদ ও মানসিব হায়াত।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ডিবি মতিঝিল বিভাগ গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঢাকায় অনেকদিন ধরেই নারী সাপ্লাই দিয়ে আসছিল। নারীর সঙ্গে করে তারা ইয়াবাও সাপ্লাই দিতো। এছাড়া, তাদের ঢাকায় ভুয়া পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত চৈতি ও সাকিব স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাগুলো মেনটেইন করতো। কাউকে সেসব বাসায় নিয়ে গেলে আত্মীয়র ভুয়া পরিচয়ে নিয়ে যেতো।

ডিবি প্রধান বলেন, নীলা আভিজাত হোটেল ও বাসা-বাড়িতে প্রায় ৬ হাজারের মতো নারী সাপ্লাই দিয়েছে। সে বিভিন্ন নারীদের ছবি দেখাতো, তারপর চাহিদা অনুযায়ী নারীদের সরবরাহ করতো।

আর গ্রেফতার অভিযাত এলাকায় চলাচর করতো, নিজেকে পরিচয় দিতো সচিবের ছেলে বলে। তার গাড়িতে পতাকা ছিলো, তার সাথে বডিগার্ড থাকতো। কিন্তু আদতে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি তার বাবা লেখাপড়াই জানেনা।

সাকিব সোনালী নামে একটা মেয়ের কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ১২ লাখ টাকা নিয়েছে। নারী-ইয়াবা সাপ্লাইয়ের পাশাপাশি সাকিব সচিবের ছেলে পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিল। তদন্তে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমাজের গণ্যমান্য বিভিন্ন পেশার কর্মকর্তাদের তারা নারী সরবরাহ করতো বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। আমরা তদন্ত করছি। তারা বলেছে অনেক জায়গায় অসংখ্য নারী সাপ্লাই দিয়েছে। এরমধ্যে আদৌ কেউ বিদেশে পাচার হয়েছে কি-না তদন্ত করে দেখা হবে।

এছাড়া, কেউ যখন তাদের নির্ধারিত বাসায় যেতো, তখন সহযোগীরা তাদের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে মাসের পর মাস ব্ল্যাকমেলিং করে টাকা আদায় করতো। পরিবারকে জানিয়ে দিবে এমন ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগও আমরা পেয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪