স্টাফ রিপোর্টার-
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদীর (এশার) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ভুক্তভোগীর ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই ভুক্তভোগীর বোন লুনা মির্জা বাদী হয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম
ওসি আরও জানান, এশার মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আজ রোববার ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই নারী ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ভুক্তভোগী।
মামলা দায়েরের পর বড় মনির উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। পরে নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন টাঙ্গাইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুক্তভোগী নারী পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
পরে আদালতের নির্দেশে ওই শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির বাবা গোলাম কিবরিয়া নন। পরে আদালত গত ৯ অক্টোবর গোলাম কিবরিয়াকে ১১ জুলাই উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। পরে তিনি মুক্তি লাভ করেন।
ধর্ষণের এই মামলাটি টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিপিআই) তদন্ত করছে।