নোয়াখালী সংবাদদাতা
নোয়াখালীর তিনটি উপজেলায় এক দিনে পানিতে ডুবে দুই সহোদর ভাইসহ পাঁচ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত জেলার কবিরহাট, সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত তিন দিনে জেলায় আট শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশুরা হলো কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের ছিদ্দিক ভূঁইয়া বাড়ির আবু নাছেরের ছেলে রিফাত (৯), রিফান (৭), সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামের মো. হোসেনের মেয়ে রিয়া বেগম (৯) ও তার ভাই সালাউদ্দিনের মেয়ে নাসরিন আক্তার (১১) এবং হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের লামছরি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে নিহা (৫)।
কবিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিদার উল আলম ও হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এসআই দিদার বলেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে রিফাত ও তার ভাই রিফান পুকুরের পাশে অন্য শিশুদের সাথে খেলছিল। ওই সময় প্রতিবন্ধী রিফাত ও তার ভাই রিফান পুকুরের পানিতে ডুবে তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হাতিয়া থানার এএসআই জহির জানান, শিশু নিহা সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের সদস্য বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
অপরদিকে সুবর্ণচর উপজেলার চর বৈশাখী গ্রামের রিয়া বেগম (৯) ও তার চাচাতো বোন নাসরিন আক্তার (১১) পরিবারের সাথে ঢাকায় বসবাস করত। তারা ঈদুল আযহার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি আসে।
তারা সাঁতার কাটতে জানে না। আজ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে দুই বোন পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। ওই সময় তাদের পরিবারের সদস্যরা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে। এরপর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চরজব্বার থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল ওয়ারেছ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।
বা বু ম / অ জি