1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানের মহান দায়িত্বে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই-ডিএমপি কমিশনার আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল সবজি, পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কমলেও, কমেনি আলুর দাম ঘোষিত হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ডিএমপি কমিশনার মোঃ সাজ্জাত আলীর দায়িত্বভার গ্রহণ নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক হবেন- প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সংঘটিত হবে-আইন উপদেষ্টা

রাজাপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্যকরে ঘর নির্মানের পায়তারা ইউসুফ দম্পত্তির খুঁটির জোড় কোথায়?

  • সময় : শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০
  • ৩৬৫

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার রোলা গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিরোধীয় সম্পত্তিতে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার ইউসুফ-শিউলি দম্পত্তির উপর। জানাগেছে, রোলা গ্রামের শাহআলম হাওলাদারের স্ত্রী আমিনা বেগম নিজ নামে ২০১৫ সনের ২৩ এপ্রিল সাবকবলা দলিল মূলে ১২.৩০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যাহার মৌজা-রোলা, জেএল নং ১০, এসএ খতিয়ান নং ২০৫, এসএ দাগ নং ৫১৬, ৬১৬, ৬১৮, ৬১৯ এবং এর বিএস খতিয়ান নং ৮৯, ৯০ বিএস দাগ ৯৩৮, ৯৩৯, ৯৪০, ১০১২, ১০১৩। কিন্তু আমিনা বেগম কৃষিকাজ ও বাগানাদি করিয়া শান্তিপুর্ণ ভাবে দু’বছর ভোগ দখলে থাকার পর এই সম্পত্তির উপর নজর পরে পার্শবর্তী জমির মালিক ইউসুফ আলী হাওলাদার ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ শিউলি বেগমের।

ইউসুফ আলী হাওলাদার কোন কর্ম না করলেও তার স্ত্রী শিউলি বেগম রোলা হালিমা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় কেরানী পদে চাকুরী করেন। কিন্তু এই দম্পত্তি তাদের পার্শবর্তী জমি ত্রয়কারী শাহআলমের পরিবারকে গত দু’বছর যাবৎ ব্যপক ভাবে অত্যাচার করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সনের ১৯ ফেব্রুয়ারী বিকেলে ইউসুফ ও তার স্ত্রী শিউলি দলবল নিয়ে এসে আমেনার জমির গাছ কাটা শুরু করে। তখন জমি মালিক আমিনা বেগম ও তার স্বামী শাহআলম বাধা দিলে ইউসুফ দলবল নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমেনার মেয়েসহ পরিবারের সকলে আহত হয়। এ ঘটনার পরেরদিন ২০ ফেব্রুয়ারী ইউসুফ ও তার স্ত্রী শিউলিসহ ৬ জনকে আসামী করে আদালতে ফৌজদারী কার্য বিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারা মোতাবেক প্রসেডিং ড্র করে আমেনার স্বামী শাহআলম হাওলাদার।

এর প্রেক্ষিতে এই জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের বিচারক। কিন্তু মাদ্রাসা কেরানী শিউলি ও তার স্বামী ইউসুফ সব ধরনের আদেশ নির্দেশ উপেক্ষা করে বিভিন্ন সময়ে আমেনার জমির গাছ কেটেছে নিয়েগেছে বলে জানান আমেনা বেগম। বাধা দিলেই দা-বটি, কুড়াল নিয়ে হামলা করতে আসে ইউসুফ। গত ২০১৯ সনের ২৪ ডিসেম্বর এই সম্পত্তিতে ফৌজদারী কার্য বিধির ১৪৪ ধারায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৩১ ডিসেম্বর রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে আদালত থেকে ২২৯১ নং স্বারকে আদেশের অনুলিপি প্রেরন করা হয়। রাজাপুর থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিলেও তা মানতে নারাজ ইউসুফ ও শিউলি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে সরকারী সাধারণ ছুটির কারনে আদালত বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী ইউসুফ এই সম্পত্তিতে একটি ঘর নির্মানের কাজ শুরু করে। ঘটনার দিনই আমেনা বেগম আইনগত সহায়তার জন্য রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আমেনার অভিযোগটি রাজাপুর থানা সাধারণ ডায়েরী হিসেবে গ্রহন করেন। জিডি নম্বর ১১২৭, তারিখ ২৮/০২/২০২০। একইসাথে আমেনা বেগম আদালতের স্বরনাপন্ন হন।

এই মামলাটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কোন প্রকার কাজ না করার আদেশ বহাল রাখেন আদালত। এস্থানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রাজাপুর থানার ওসিকে চলতি ২০২০ সনের ২৮ মার্চ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদেশ দেয় বিচারক। এ আদেশের অনুলিপি ৪১৮ নং স্বারকে ঐদিনই রাজাপুর থানাকে দেয়া হয়। রাজাপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত একটি নেটিশ দেয়া হয় মামলার বিবাদী ইউসুফকে। থানার নোটিশে বলাহয় আদালতের আদেশ ভঙ্গ করিয়া বিরোধীয় এই সম্পত্তিতে প্রবেশ করিয়া কোন প্রকার দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি করে শান্তি শৃঙ্খলার বিঘœ ঘটালে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা প্রহন করা হবে। এদিকে এসমস্ত আদেশ নির্দেশ কর্ণপাত করছেনা ইউসুফ। গত ২০ জুন সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ইউসুফ হাওলাদার আমেনা বেগমের জমিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মান করছে। বিষয়টি রাজাপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. ফিরোজ আলম এবং রাজাপুর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যন মজিবর মৃধাকে অবহিত করা হয়। এলাকাবাসী বলেন, মাদ্রাসা কেরানী শিউলি সবসময়ই এলাকায় বেশ ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা চালায় তার খুটির জোর কোথায়?

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিউলির স্বামী ইউসুফ এর কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, তার চাচাতো বোনের কাছ থেকে ঐ সম্পত্তি আমেনা ক্রয় করলেও সে বিধি মোতাবেক টাকা দাখিল করেছে এবং মামলা সিভিল আদালতে চলমান রয়েছে। ইউসুফ আরো বলেন, আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যে ভ্যকেট করা হয়েছে।

বর্তমানে ১৪৫ ধারার আদেশটি বিচারের জন্য এডিএম কোর্টে পাঠিয়েছে জজ কোর্ট। আমেনার পরিবারকে হয়রানী করার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউসুফ বলেন, তার নামে মিথ্যা চাদাবাজী মামলা করে তাকে হয়রানী করছে আমেনার পরিবার। সেই মামলাটিও আদালতে বিচারাধীন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪