নিজস্ব প্রতিবেদক , সাভার :
ঢাকার সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের উপর হামলা করে জখমের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে সাভার পৌরসভার রেডিও কলোনি বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সিরাজুল ইসলামকে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই সংক্রান্ত ঘটনায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম। অভিযুক্তরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো: নয়ন(৪২) এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তোফাজ্জল হোসেন (৪৪)। তারা জালেস্বর এলাকার আব্দুর রহমানের বাড়ির এমেরিকান ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও দুই জনকে এজাহারে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সিরাজুল ইসলাম নয়াবাড়ি বৌ বাজার এলাকায় মো: তোফাজ্জল হোসেন ও মো: নয়নের মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ হলুদ মরিচ মিলে চালের আটা ভাঙাতে আসেন। চাল ভাঙ্গানোর পর আটা পরিপূর্ন গুঁড়া হয়নি এমন অভিযোগ তুলেন সিরাজুল ইসলাম। অপর দিকে মিল মালিক মো: নয়ন তা অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে দুই জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় মো: নয়নের পক্ষ নেন অপর মিল মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তোফাজ্জল হোসেন। তাদের হামলায় গুরুতর আহত হন সিরাজুল ইসলাম। খবর পেয়ে সিরাজুল ইসলামকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার ছেলে মো: শহিদুর রহমানও হামলার শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো: নয়ন (৪২) প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা তাঁর ওপর আগে হামলা করিনি। তিনিই আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আগে হামলা করেছেন। হামলায় তিনিও চোখের উপরে গুরুতর জখম হয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।