এম.শাহীন আল আমীন,জামালপুর ॥
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নতুন টুপকারচর গ্রামে সুদের টাকা নিয়ে জনসন্মুখে নান্ডা মিয়া(৫৫) নামে এক দিনমজুরকে উলঙ্গ করার সংবাদ বাংলাদেশ বুলেটিনে প্রকাশের পর ২জনকে আটক করেছে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে পুলিশ তাদের আটক করে। তবে ঘটনার মূল নায়ক শফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জের নতুন টুপকারচর গ্রামের সাধু শেখের ছেলে দাদন ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতি হাজারে মাসিক ১০০ টাকা সুদে ১০ হাজার টাকা ধার নেন একই গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে নান্ডা শেখ (৫৫)। চার বছরে আসল ৫ হাজার টাকাসহ ৪০ হাজার টাকা সুদ দেন দিনমজুর নান্ডা মিয়া। অবশিষ্ট ৫ হাজার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। টাকা যোগাড় করতে না পারায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি নান্ডা মিয়া। কিন্তু নাছুর বান্দা দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম লোকজনসহ নান্ডা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সময়ের আবেদন করেন নান্ডা মিয়া। কিন্তু সময় না দিয়ে দাদন ব্যবসায়ী শর্তদেন উপস্থিত লোকজনের সামনে প্রকাশ্যে উলঙ্গ হলে টাকা মাফ করে দেওয়া হবে। এক পর্যায়ে দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত লোকজনের সামনে নান্ডা মিয়াকে উলঙ্গ করে টাকা মাফের ঘোষনা দেন। ঘটনার কিছু দিন পর আবারও টাকার জন্য চাপ দেন দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। দিনমজুর নান্ডা মিয়া টাকা দিতে না পারায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ব্যাদম মারপিট ও লাঞ্চিত করেন দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম।
বিষয়টি ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ বুলেটিনে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমদের দৃষ্টিগোচর হয়। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে পুলিশ নতুন টুপকারচর গ্রামে হানা দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২জনকে আটক করে। যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন-নতুন টুপকার চর গ্রামের আজগর আলী(৪০) ও উবাইদুল হক বলাই(৪২) । তবে মূল হোতা দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম স¤্রাট জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ২জনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার নান্ডা মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।