সোহেল রানা,সাভার(ঢাকা):
ঢাকার সাভারে খেয়া পারাপারের সময় সহোদর দুই বোনকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে একাধিক মামলার আসামী চিহ্নিত সন্ত্রাসী সেলিম ওরফে সেইলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহত দুই তরুণীকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী দুই তরুণীর মা।
অভিযুক্ত মো. সেলিম সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাকসাত্রা গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত মহব্বত আলীর পুত্র। সে কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক চেয়ারম্যানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে সহোদর দুই বোন রাজধানীর মিরপুর থেকে কেনাকাটা করে সাভারের কাউন্দিয়ায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। রাত সোয়া ৯ টার দিকে তারা কাউন্দিয়া খেয়াঘাটে পৌঁছালে এলাকার প্রভাবশালী সেলিম তাদের গতিরোধ করে বড় বোনের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় দুই বোন এর প্রতিবাদ করলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সেলিম।
আরও জানা যায়, বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে সেলিম ঘাটে থাকা পারাপারের নৌকা থেকে ছাতা নিয়ে ছোট বোনকে মারধর করতে থাকে। এ সময় বড় বোন বাধা দিলে তাকেও উপর্যুপরি ছাতা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন সেলিম। এ ছাড়া সেলিমের ভাগনে রিপন মারধরের সময় তাকে সহযোগিতা করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সেলিম ও তার ভাগনে রিপন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাভারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বড় বোন জানান, খারাপ ইঙ্গিত নিয়েই ওই ব্যক্তি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। প্রতিবাদ করায় আমাদের দুই বোনকেই মারধর করেছে। পুরো শরীর ব্যথায় নড়াচড়া করতে পারছি না।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, দুই বোনকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর কাউন্দিয়া পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ হারুন অর রশিদ কাউন্দিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামীকে আটক করে এবং তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ইয়াবাসহ আটক হওয়ায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা চলমান আছে।