নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারডুবিতে নিহত ৭ রোহিঙ্গার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
তবে এখনো ১৬জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও এ পর্যন্ত ১১জন রোহিঙ্গা জীবিত উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টায় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়।
দাফন সম্পন্নকৃত মরদেহ গুলো হচ্ছে, ভাসানচর ক্যাম্পেন ৫৪ নং ক্লাস্টারের ওসমান গনির ছেলে রফিক (২৭) একই ক্লাস্টারের রফিকের মেয়ে রাজুমা (৫) ৫৩ নং ক্লাস্টারের রশিদ আহম্মদের ছেলে আবুল বশর (৮) তার মেয়ে নুর কলিমা (২) ও তছলিমা (৬), ৫নং ক্লাস্টারের রহিম উল্যার মেয়ে নুর আইশা (২ মাস), ৫০ নং ক্লাস্টারের আব্দুর রহমানের মেয়ে নুর আয়েশা (৩ মাস)।
ভাসানচার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে ময়না তদন্ত ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ৭ রোহিঙ্গার মরদেহের পরিচয় সনাক্ত শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে ঝড় তুফানের কারণে মরদেহ গুলো দাফন করা হয়নি। পরে বুধবার সকাল ৯টায় নিহতের স্বজনেরা একটি পুলিশ টিমের উপস্থিতিতে মরদেহ গুলো দাফন সম্পন্ন করে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের যৌথ অভিযানে গভীর সমুদ্র ও সন্দ্বীপ উপকূল থেকে এসব রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ক্যাম্প ইনচার্জ সহকারী কমিশনার শামীমা আক্তার জাহান জানান, গতকাল মঙ্গলবার সারা দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযানে সাগর থেকে আরও ৭জন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত দুই দিনের অভিযানে প্রথম দিনে ১টি ও দ্বিতীয় দিনে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করে ভাসানচর ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১১ জনের লাশ উদ্ধার হলো বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে মাছ ধরার ট্রলারে ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাত দেড়টার দিকে সাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।