ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী চারঘাটে জমি সংক্রান্ত পূবের জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইয়ের খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ভাটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলেন ভাটপাড়া গ্রামের মৃত জলিলের ছোট ছেলে মতিউর রহমান (৬২)।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে নিহত মতিউর রহমান ও তার ছেলে ইনছান নিজ জমিতে ধান লাগাতে গেলে প্রতিপক্ষ বড় ভাই ও তার ৫ ছেলে তাকে কাজ করতে বাধা দেয়। এমতাবস্থায় উভয়ই তকবিতকে লিপ্ত হন। এক পযায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘষ শুরু হয় এবং বড় ভাই খলিলুর রহমানে ছেলে ওয়াকিল এর হাসুয়ার আঘাতে মতিউরের পেট ফেড়ে গেলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় মতিউর ও তার ছেলে ইনছান (২০), প্রতিপক্ষ খলিলুর রহমান (৭০), ছেলে ওয়াকিল (৪০), তোতা মিয়া (৪৩)সহ উভয় পক্ষের প্রায় ৭ জন আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে যান। উভয়পক্ষের আহত ব্যক্তিরা আশংকাজনক হওয়ায় কতব্যরত ডাক্তার তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে নিহত মতিউরের স্ত্রী মোশিদা বেগমসহ আত্মীয় স্বজনরা গনমাধ্যকে জানায়, পৈত্রিক বসতভিটা ও কৃষি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ খলিলুর রহমান ও তার ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে শুক্রবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার স্বামী ও ছেলের উপর হামলা করে। স্বামীর হত্যার সুষ্ঠ বিচার চান বলে নিহতের স্ত্রী এই প্রতিবেদকে জানান।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মতিউর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের ডাক্তার এবং খুবই নিরহ ব্যক্তি। চাকুরীরত অবস্থায় বেশির ভাগ সময়ই তিনি এলাকার বাইরে অবস্থান করতেন। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি তার বড় ভাই প্রতিপক্ষ খলিলুর রহমান ভোগ দখল করে আসছিল। কয়েকবার স্থানীয় সালিশে এ বিষয়ে মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও প্রতিপক্ষ খলিলুর রহমান ও তার ছেলে তা অমান্য করেন। জমি সংক্রান্ত একটি মামলা কোটে চলমান রয়েছে। সুষ্ঠ বিচারের জন্য দীঘদিন তিনি থানা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও ন্যায় বিচার পাইনি বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি। মুঠোফনে খলিলুর রহমানে ছেলে তোতা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি।
জমি নিয়ে দ্ব›েদ্বর ঘটনার খবর শুনতে পেয়ে পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌছাঁয়। জমির ভাগ বাটোয়ার দীঘদিনের দুই ভায়ের মধ্যে দ্ব›দ্ব চলেছিল। তবে ওই জের ধরে দুই ভাই এর মধ্যে অনাঙ্কিত ঘটনা ঘটেছে। এই সংবাদ প্রকাশের পূর্ব মর্হুত পর্যন্ত কোন মামলা থানায় রুজু হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন চারঘাট মডেল থানার ওসি ঘটনার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।