অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল, স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।
সাক্ষ্য শেষে দেশে ফিরে দুজন ভুক্তভোগী জানান, প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েত নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করতো পাপুলের লোকজন। এমপি পাপুলের বিচার দাবি করেন তারা।পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থপাচারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে দেশের সিআইডি। ইতিমধ্যে এমপি পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে।এদিকে মানব ও অর্থপাচারে সহযোগী হিসেবে দেশটির দুই সরকারি কর্মকর্তাসহ তিন জনকে ঘুষ দেয়ার কথা রিমান্ডে স্বীকার করেছেন পাপুল।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচারে সহায়তা করায় ওই তিন কর্মকর্তাকে চেক ও নগদ মিলিয়ে প্রায় ২১ লাখ কুয়েতি দিনার দিয়েছেন পাপুল। কুয়েতে মানবপাচারের অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের জেল হতে পারে পাপুলের।