মো. মিজানুর রহমান,পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠী পৌরসভার উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মামা ভাগিনার মোড় থেকে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ হয়ে রুস্তুম মুন্সির মসজিদ পর্যন্ত সড়কটি পুনঃনির্মানের কাজে নিম্ন মানের খোয়া, নির্ধারিত পুরুত্ব বজায় না রেখে, সঠিকভাবে রোলার না দেওয়া নিম্ন মানের বিটুমিন ব্যবহার করে প্রকৌশল বিভাগের লোকজন ছাড়া ঢালাই দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগে স্থানীয় সাংবাদিকরা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরকে জানালে তিনি সহকারী প্রকৌশলী নুর আল আজাদ ও উপসহকারী প্রকৌশলী (যিনি বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী) মামুন খানকে উক্ত স্থানে পাঠান। তার কাজের সাইডে গিয়ে ওই অবস্থায়ই কাজ চালিয়ে যান।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ধুলোবালুর মধ্যেই ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে। ঢালাইয়ের মালামালের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী কোন কথা বলার আগেই মামুন খানের সোজা সাপটা কথা প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। কোন ধরনের বিটুমিন ব্যবহারের কথা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, টেষ্ট রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। কোন কোম্পানী সেটা বলতে রাজি নন। এসময় ম্যাকাডমের পুরুত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে উপসহকারি প্রকৌশলি মামুন খান রাস্তা খুড়ে দেখান সেখানে আলগা অবস্থায় ছয় ইঞ্চি রয়েছে। এসময় জানান এ রাস্তাটি পুনঃ নির্মান করা হচ্ছে। পূর্বের সড়কে টিলার দিয়ে চাষ করে তার ওপর রোলার দিয়ে উপরে চার ইঞ্চি নতুন খোয়া দিতে হবে। রাস্তায় ব্যবহৃত ইটের খোয়া অত্যান্ত নিম্ন মানের। বাংলাদেশী বিটুমিন ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ইরানি বিটুমিন।উক্ত মালামাল নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কনসালটেন্টদের দেখানো হয়েছে। তাদের কাছে সব বিষয়টি সাংবাদিকরা জানালেও তারা কাজের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নিয়েই চলে গেছেন।ওই সড়কে চলাচলকারী অটো ড্রাইভারগন জানান , রাস্তার কাজে দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খোয়া, যা খুবই নিন্ম মানের । পা দিয়ে চাপ দিলেই ভেঙে যায়। তারা আরও বলেন, আমাদের দুর্দশা দূর করতে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারের চুরির কারণে আমরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবো। নম্বরবিহীন ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ চলছে। পিচের পরিমাণও কম। এ রাস্তা বেশি দিন টিকবে কীভাবে। সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নব নির্মিত সড়কে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিটুমিন, বালু ও খোয়ার মিশ্রণ দেওয়া হয়নি। বরং সড়কটির পুরনো মালামাল নতুন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের সাথে কথা বললে তিনি সরাসরি বলেছেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তি হীন । সঠিক নিয়ম কানুন মেনে কাজ করা হচ্ছে। যে মালামাল ব্যাবহার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ল্যাব্রোটারিতে পরীক্ষা করার পরে ব্যাবহার করা হয়। অভিযোগের ব্যাপারটি আপনাদের কে সাথে নিয় খতিয়ে দেখা হবে। তিনি সাথে নিয়ে তো দুরের কথা আদৌ খতিয়ে দেখেছেন কিনা তা এখনো সাংবাদিকদের জানাননি।