১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জঙ্গী, সশস্ত্র সন্ত্রাসী, জলদস্যু গ্রেফতার সহ মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে। র্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় ০৮/০১/২০২১খ্রিঃ তারিখ ০৭.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সীমান্তবর্তী এলাকা হতে একটি কাচামাল ভর্তি পিকআপ গাড়িতে করে ফেন্সিডিল মাদকের একটি বড় চালান নিয়ে রাজধানীর ঢাকার আদাবর থানা এলাকায় হাস্তান্তরের জন্য আসছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাবের আভিযানিক দল ০৮.১০ ঘটিকায় রাজধানী আদাবর থানাধীন শ্যামলী রিং রোডস্থ শ্যামলী খেলার মাঠের মেইন গেইটের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর চেক পোস্ট স্থাপন করে। অতপর ০৮.৩৫ ঘটিকার সময় কাচামাল বোঝায় করা ১টি পিকআপ গাড়ি উক্ত স্থানে পৌঁছালে গাড়িটি সন্দেহ হলে থামার জন্য সংকেত দিলে র্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে গাড়ি থামিয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী ১। মোঃ সারোয়ার আলী(৩৩), ২। মোঃ রুবেল সিকদার(৩০), দ্বয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ফেন্সিডিলের চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে গাড়িতে ফেন্সিডিল আছে বলে স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে গাড়ি উপরে সাজানো টমেটো, কুল ও পেয়ারা ক্যারেটের ভিতরে অভিনব পন্থায় লুকায়ীত ১০০১ (এক হাজার এক) বোতল ফেন্সিডিল ও পলিথিনে মোড়ানো ১ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়, যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক- ১৫,০১,৫০০/- টাকা। ধৃত আসামীরা আরো জানায় যে, রাজধানীতে নেশা জাতীয় দ্রব্যর ব্যাপক চাহিদা থাকায় দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন কৌশলে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসা ফেন্সিডিল ও গাঁজা স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে বড়লোক হবার নেশায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চড়াদামে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল।
৩। উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।