ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অবৈধ ভাবে টাঙ্গন নদীতে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন কোন অভিযান না করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিক ও পুলিশ নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় ২টি বালুর গাড়ি আটক করলেও পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি তরিকুল ইসলামের ভূমিকা নিয়ে বেশ প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে বালিখোর হবি তার সামনে থাকার পরেও তাকে আটক না করে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগও করেন সাংবাদিকরা।
তবে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলেছেন অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে জরিমানা নয় জেল দেওয়া হবে।
কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এদিকে এসব নদীর ঘাটে অভিযান পরিচালনা না করায় পীরগঞ্জ উপজেলার সব বালু ঘাটের বালুখোররা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোন ইজারা ছাড়াই সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রথম শ্রেণীর কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কিছু হলুদ সাংবাদিককে খুশি করে দেদার্সে বালু উত্তোলন করছেন।
প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আগে পরে সেই হলুদ সাংবাদিকরা দালালি শুরু করে দেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন বালু খোরদের সাথে তাদের একটি মোটা অংকের রফাদফা হয় বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু বালু ব্যবসায়ী। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করেন না তারা।
সেই বালু উত্তোলন কালে সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করতেও পিছু হাটেননি বালু খোররা। সে সময় লাঠি দিয়ে সাংবাদিকদের মারধর করেন হবি নামে এক বালুখোর চক্রের সদস্য সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন নদীর কদমতলীর ঘাটে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা পীরগঞ্জ থানায় মুঠোফোনে জানালে পীরগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে ২টি বালুর গাড়িসহ সাংবাদিকদের উদ্ধার করে। গত কয়েকদিন আগে এই নদীর ঘাট থেকে ৭টি গাড়ি আটক করে জরিমানা করা হয়েছিল।
পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তরিকুল ইসলাম ঘটনা স্থলে গিয়ে বালু খোরদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার অভিযোগও করেন সাংবাদিকরা। সেই সাথে তাকে বারবার মুঠোফোনে কল দিলেও তার ফোন রিসিভ না করাই গুঞ্জন চলছে সাংবাদিকসহ সেই এলাকার মানুষের মাঝে। সেই সাথে বালুখোর হবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হউন তিনি।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি তরিকুল ইসলাম বলেন,কোন জায়গায় তারা বালু উত্তোলন করেছিল সেটা দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, পীরগঞ্জ উপজেলার কদমতলী,নাক্কাটি,বনুয়াপাড়া, বাজারদিহা, মাসালডাঙ্গী, থুমুনিয়া শালবনসহ একাধিক নদীর ঘাটে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে কিন্তু নেই কোন অভিযান।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলেন, ডিসি স্যার বলেছেন জরিমানা নয় নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে গ্রেফতার করে জেল দেওয়া হবে। সেই সাথে আনসার ভিডিপি, গ্রাম পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনী রাতেও অভিযানে থাকবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ডঃ কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, বালু উত্তোলন করা অপরাধ যারা অবৈধ ভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।