গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেই চলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।ক’দিন পরপরই ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার শিরোনাম হয় এ উপজেলা। এবার উপজেলায় রতনপুর ইউনিয়নের দুই গ্রামে আধিপত্ব বিস্তারে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদের নবীনগর সদর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বাজেবিশাড়া ও দুবাচাইল গ্রামের আবুল হোসেন ও রতনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ঘটে আজকের সংর্ঘষের ঘটনা।
এলাকাবাসী জানায়, দুটি গ্রুপের মধ্যে মামলা-হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ধারাবাহিক ভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বুধবার সন্ধ্যায় দুবাচাইল গ্রামের সীমান্তবর্তী মুরাদনগর উপজেলার পিপিড়িয়াকান্দি বাজারে আবুলের সাথে রুহুল আমিন চেয়ারম্যানের সমর্থক আরজু মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে রাতভর সংগবদ্ধ হয়ে প্রস্তুুতি নিয়ে গতকাল ১১ জুন বৃহস্পতিবার সকালে দুই গ্রুপের লোকজন টেটা, বল্লম, তীর, ককটেল,সহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দুবাচাইল দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের লিপ্ত হয়।
এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও দেশীয় বন্দুকের ছড়া গুলি ও তীরের আঘাতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয় এবং একটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।রক্তক্ষয়ী এই সংর্ঘষের ঘটনায়
আহতরা হলেন, সেলিম রেজা, নাইম, আলাল মিয়া, শিপন, রাজিব, আলী আজ্জম, রাসেল, মোশারফ, ফজলু মিয়া, ওয়াসিম, মো. অপু, লিটন মিয়া, ফারুক আহমেদ, সুজন মিয়া, কাদির মিয়া, সফিক, শরিফসহ আরো অনেকে। তাদের মধ্যে নাইমের শরীরে গুলি ও বুকে তীরের আঘাত লাগে, তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা ও পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। সেলিম মিয়ার দুটি পা পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আহতদের কুমিল্লাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাজেবিশাড়া গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ফকরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।এছাড়া ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।