অবশেষে ব্যাপক সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার ব্যবস্থাপনা দেখতে ৫০০ কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাবটি বাতিল করতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন। বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে কোনো প্রকল্পেই বিদেশ ভ্রমণ খাত রাখা হচ্ছে না। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের সপ্তাহে তিন দিন খিচুড়ি ও তিন দিন বিস্কুট (মিড ডে মিল) দেবে সরকার।
এ জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি প্রায় ১৯ হাজার ২৮২ কোটি টাকার কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার, যা আগামী জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। এর আওতায় পাঁচ বছর ধরে প্রায় এক কোটি ৪৮ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিকর বিস্কুট ও রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হবে। ৫০৯টি উপজেলার শিক্ষার্থীরা এ খাবার পাবে। এছাড়া দেশেই প্রশিক্ষণের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের অধীনে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পাঁচ বছরে মোট ৫০০ জনকে বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যার জন্য ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে ৫ কোটি টাকা।
দুটি খাত বাতিলের বিষয় নিয়ে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান স্বপন কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ আমাদের কাছে একটি আবদার করলেই হবে না। আমরা একনেকের (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুশাসনের বাইরে যেতে পারব না। বর্তমানে করোনা সংকট চলছে। কোনো প্রকল্পেই বিদেশ ভ্রমণের খাত রাখা হচ্ছে না। তাহলে এ প্রকল্পে সেটা কেন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে প্রশিক্ষণ খাতও বাতিল করা হয়েছে। জনগণের এক টাকাও অপচয় করতে দেওয়া হবে না। তাই ১৫ কোটি টাকার প্রস্তাব বাতিল করতে বলা হয়েছে। তবে দেশে প্রশিক্ষণের জন্য হয়তো ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা রাখা হবে। প্রকল্পের অন্যান্য খাতও চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। অনেক খাত বাতিল করাসহ ব্যয় কমাতে বলেছি। আবার কিছু খাত বাড়াতেও বলেছি।
প্রকল্পটি ৫০৯টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। আমরা যদি দেখি একটি বা দুটি উপজেলা বাড়াতে হবে, তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।