বরিশাল নদীবন্দরে ঢাকা-বরিশালগামী পারাবত(১১) লঞ্চে ৩৯১ কেবিনে সোমবার খুন হওয়া নারী জান্নাতুল ফেরেদৌসীর হত্যাকারী মো. মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর মীরপুর-১ থেকে মঙ্গলবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। এনিয়ে পিবিআই বরিশালে পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আজ বুধবার সকাল দশটায় প্রেস কনফারেন্স করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকারী মনিরুজ্জামানের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানায়। ১৩ সেপ্টেম্বর জান্নাতুল ফেরদৌসকে নিয়ে পারাবত লঞ্চের কেবিনে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়। সকালে মনিরুজ্জামান লঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার আগে জান্নাতুলের গলায় ওড়ানা পেচিয়ে হত্যা করে লঞ্চ থেকে নেমে যায়। নৌপুলিশ লাশ উদ্ধার করার পর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিবিআই মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে প্রেস কনফারেন্সে জানান পিবিআইর পুলিশ সুপার। অন্যদিকে এঘটনায় বরিশাল নদী-বন্দর সদর থানার এস আই অলক চৌধুরী বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে জান্নাতুল ফেরদৌসি লাবনীর লাশ পিতা আঃ লতিফ মিয়ার কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। গত ১৩ই সেপ্টেম্বর ঢাকা নৌ-বন্দর ঘাটে পারাবত (১১) ৩৯১ নং কেবিনটি জনৈক কামরুল নামে বুক করা হয়। এবং সন্ধার দিকে ফেরদৌসি ও অজ্ঞাতনামা এক পুরুষ ব্যাক্তি লঞ্চে উঠেন। ১৪ই সেপ্টেম্বর বরিশাল ঘাটে লঞ্চ নঙ্গর করার পর সকল যাত্রী নেমে গেলে উক্ত ৩৯১ নং কেবিনের যাত্রী না নামায় কক্ষে খোঁজ নিতে স্টাপ বয়রা গিয়ে খাটে মরে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে নৌ-পুলিশদের খবর দেয়।
প্রর্যায়েক্রমে মডেল কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ক্রাইম সিন পুলিশ নিজ নিজ ভাবে তদন্ত করে এবং লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে খুনিকে শনাক্ত করা হয়।