বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন থেকে পাচার কালে ১৩ ব্যারেল গলদা চিংড়ির রেণুসহ ওই চক্রের ৩ জনকে আটক করছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের ঘোলপাড় থেকে তাদেরকে আটক সহ একটি ট্রলার জব্দ করা হয়। শুক্রবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আটককৃতদের প্রত্যেক কে ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন। আটককৃতরা জানান, ওখানে প্রায় ২ লাখ রেণু ছিল। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী বলেন, মেঘনা থেকে আহরিত রেণু একটি চক্র কাচিয়া ইউনিয়নের ঘোলপাড় দিয়ে পাচার করছে।এমন সংবাদে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর, স্থানীয় থানা পুলিশের সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চিংড়ি রেণু পাচারের অভিযোগ ২ লাখ রেণু সহ একই উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের মজিবলের ছেলে ফারুক,৪ নং ওয়ার্ডের ইয়াছিন বেপারীর ছেলে রুহুল আমিন,লালমোহন পৌরসভার মোস্তফার ছেলে সবুজ কে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রত্যককে ১ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান,আটককৃত চিংড়ি রেণুগুলো স্থানীয় ফরিদ দালালের। ফরিদ দালাল স্থানীয় কতিপয় সহযোগী সংগঠনের নেতার আর্থিক সমঝোতার মাধ্যমে তাদের সহযোগিতায় রেণুগুলো পাচার করে আসছে এমন অভিযোগ রয়েছে।উল্লেখ্য গত ৮ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী, মৎস্য কর্মকর্তা, স্থানীয় নৌ কন্টিনজেন্ট এর সহযোগিতায় এক অভিযান পরিচালনা করেন। পরে ফরিদ দালালকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এএফএম. নাজমুস সালেহীন জানান,আটককৃত ১৩ ব্যারেল রেণু উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় থানা পুকুরে অবমুক্ত করা হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।