ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বানিয়াকান্দর গ্রামের একটি পুকুর থেকে রোববার দুপুরে সাফিয়া খাতুন (৬) ও মাহিদ হোসেন (৫) নামে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদেরকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ নিহত দুই সন্তানের মা মনিরাকে গ্রেফতার করেছে।
সাফিয়া ও মাহিদ বানিয়াকান্দর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম ও মনিরা খাতুন দম্পতির সন্তান। স্থানীয় ইউপি মেম্বর সুজন গনমাধ্যমকে জানান, রোববার সকালে সাফিয়া ও মাহিদকে নিয়ে গোসল করতে যায় তার মা মনিরা খাতুন (৪০)। বাড়ি ফিরে মনিরা প্রতিবেশি রাবেয়া খাতুন নামে এক মহিলাকে জানায় তার দুই সন্তানকে সে পুকুরে রেখে এসেছে।
মনিরার অসংলগ্ন কথাবর্তার পর রাবেয়া খাতুনসহ লোকজন পুকুরে কাদায় পুতে রাখা অবস্থায় দুই ভাই বোনের মৃতদের উদ্ধার করে। গ্রামবাসির অভিযোগ মনিরা খাতুনের মানসিক সমস্যার পাশাপাশি সে বদরাগি মহিলা হিসেবে মহল্লায় পরিচিত। দুই বছর আগে সে তার এক সন্তানকে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ করেন সুজন মেম্বর। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই সাখওয়াত হোসেন জানান, পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার মা দুই সন্তানকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করেছে।
বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে। এসআই সাখওয়াত জানান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মা মনিরা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য শনিবার ঝিনাইদহের মহেশপুরের বাকোসপোতা গ্রামে ৫ বছরের শিশু পুত্র রাব্বি হাসান রিফাতকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মা রিফা খাতুন (২৬) গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করে। এ ঘটনার একদিন পর ঝিনাইদহ সদর থানায় দুই সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় অপরাধ বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাজ পড়েছে।