বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি:
শুক্রবার রাতে যশোর শহরের দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক আল মামুন (১৯) খুন হয়েছে। মামুন খড়কী স্টেডিয়ামপাড়ার বুলুর বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল বাশারের ছেলে। পেশায় তিনি এক নির্মাণ শ্রমিক।
নিহত মামুনের বন্ধু খড়কি আপনের মোড়ের নওয়াজের ছেলে আরাফাত জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্টেডিয়ামের গেটের সামনে বটগাছের নিচে আল মামুনসহ আমরা কয়েকজন বন্ধু বসেছিলাম। এসময় স্টেডিয়ামপাড়া ও আরবপুর এলাকার কয়েকজন যুবক কথা আছে বলে আমাদের স্টেডিয়ামের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়া মাত্রই খড়কি হাজাম পাড়ার রকিকুল ইসলামের ছেলে সাব্বির, আরবপুর এলাকার ব্লাক সিয়াম, মাহিন, খোলাডাঙ্গার জয়, মিশু, এমএম কলেজপাড়ার রফিক, রসুল, তাসিম, হৃদয়, বক্কার, আরিফসহ আরো কয়েকজন আমাদের শাসিয়ে বলে ‘এমএম কলেজের ছাত্রলীগের নেতা তৌহিদুর রহমান এবং আরবপুর এলাকার যুবলীগ নেতা সাইদুজ্জামান বাবু ভাইয়ের নামে কটাক্ষ করেছিস কেনো, তাদের নিয়ে সম্মানের সাথে কথা বলতে হবে’। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়।
আরাফাত আরো জানান, একপর্যায়ে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে খড়কী কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির পাশে বটতলায় যায়। সেখানে গিয়ে ফের তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে সকলে মিলে মামুনকে কিল, ঘুষি, লাথি, চড়, থাপ্পড় মারতে থাকে। এরই মধ্যে সাব্বির হাতে থাকা চাকু দিয়ে শরীরে আঘাত করে চলে যায়। তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে মৃত্যু হয়। সার্জারি ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক রেফাত শিকদার জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের কারণে আল মামুনের মৃত্যু হয়েছে। তার ডান পায়ের উরুর উপরের অংশের শিরা (চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় আটারি) কেটে গেছে। যশোর কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ আবু হেনা মিলন জানিয়েছেন, ছুরিকাঘাতে আল মামুনের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে যায়। স্বজনদের সাথে কথা বলে খুনের সাথে কারা জড়িত তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার স্বজনদের সাথে কথা বলেছি। খুনিদের আটকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। নিহতের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।