আজ ৯ জুলাই পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানাধীন হাজী আব্দুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আমির হোসেন ভূঁইয়া (২২) নামক একজন ভুয়া ডাক্তার এবং মহিমা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টাররের স্বত্বাধিকারী মোঃ মোস্তফা কামাল (৩৬) কে আটক করা হয়। মাধ্যমিকে মানবিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষায় পড়া আমির হোসেন ভূঁইয়া ভুয়া ডাক্তারের সনদপত্র দেখিয়ে উক্ত ক্লিনিকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পায়। এরপর থেকে সে গাইনোকোলজিস্ট হিসেবে সাধারণ রোগী দেখার পাশাপাশি সিজার সহ বিভিন্ন অপারেশন করে আসছিল। পাশাপাশি মঠবাড়িয়া থানা এলাকার আরও বেশ কিছু প্রাইভেট ক্লিনিকে অন কল ডাক্তার হিসেবে অপারেশন পরিচালনা করতো। অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তারের দেওয়া তথ্যমতে মঠবাড়িয়ার আরেকটি প্রাইভেট ক্লিনিক মহিমা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত ক্লিনিকের মালিক মো: মোস্তফা কামাল(৩৬) এই ভুয়া ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি নিজেও অপারেশনের অংশগ্রহণ করত যদিও সে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোতে পারেনি।
এই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ওষুধের স্টক করাসহ থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একইভাবে ভুয়া ডাক্তার আমির হোসেন ভূঁইয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সৌদি প্রবাসী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সে সিজার সহ বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। পিরোজপুর জেলা প্রশাসন ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভুয়া ডাক্তারকে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং হাজী আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা, মহিমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সৌদি প্রবাসী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানায় দণ্ডিত করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রতারণা মূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন ও র্যাব-৮ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।