ডেস্ক রিপোর্ট-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী যাত্রীদের অর্থ ও মালামাল লোপাটকারী চক্রের দুইজনকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আটক করা হয়। রাতে এপিবিএনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এপিবিএন জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি কিউআর৬৪০ ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসার পর কাতার প্রবাসী মানিক খান বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ও গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিএস৩৬২ ফ্লাইটযোগে জেদ্দা থেকে আসা প্রবাসী পাবনা জেলার বাসিন্দা আরিফ প্রমানিক বিমানবন্দরের ২ নং ক্যানোপি এলাকায় অবস্থান করার সময় কে বা কারা তাদের সাথে থাকা টাকাসহ ব্যাগ হাতিয়ে নেয়। মানিক খানের ব্যাগে ছিল ৩৭০০ রিয়ালসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আর আরিফ প্রামাণিকের ব্যাগে ছিল ৪৭৩৫ রিয়াল। দুইজনই পরবর্তীতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অফিসে চুরির কথা উল্লেখ করে অভিযোগ করেন।
১ম ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া না গেলেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি’র ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই ঘটনার সত্যতা পায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তারা দুইজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় কিন্তু তাদের মুখ ছিল মাস্কে ঢাকা। সিসিটিভিতে পাওয়া সামান্য তথ্য দিয়েই শুরু হয় অভিযান। ৪ দিন পর মঙ্গলবার শাহদুজ্জামান খোকন (৫৫) ও নিজাম উদ্দিন (৪৪) বিমানবন্দর এলাকায় সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করলে তাদেরকে আটক করে বিমানবন্দর অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়ই অপরাধের কথা এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
এরপর ভিকটিম যাত্রীদের সংবাদ দিলে তারা বিমানবন্দর এপিবিএন অফিসে হাজির হয়। যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান অভিযুক্তদেরকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, উভয় ব্যক্তির চুরি হওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে বিমানবন্দর এপিবিএন অফিস থেকে আইনগত প্রক্রিয়া অবলম্বন করে টাকা ও মালামালসহ যাত্রীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস) অনিতা রানী সূত্রধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, “অনেক প্রতারক ও পকেটমার যাত্রীবেশে ক্যানোপি এলাকায় অবস্থান করে। এ ধরনের প্রতারক ও পকেটমারসহ অন্যান্য যাত্রী হয়রানি দমনে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ কাজ করে আসছে। আমরা বিমানবন্দর ঘিরে সকল অপরাধ কার্যক্রম রোধে সচেষ্ট আছি।”