বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক ইন্টার্ন নারী চিকিৎসককে উত্ত্যক্ত করার জেরে চতুর্থ শ্রেণীর দুই কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে উত্ত্যক্তের বিচার দাবি করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। অপরদিকে পরিচালক বলছেন, বিষয়টি তদন্ত করে নেয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেনের কাছে বিচার চাইতে যান হাসপাতালের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। দুই কর্মচারী অফিস সহায়ক দিদুরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলামকে ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্তৃক মারধরের ঘটনার অভিযোগ করেন তারা।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, হাসপাতালের এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক গত ২৭ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তিনি তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ছিলেন। ইন্টার্ন চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, ২৮ জুন উল্লেখিত দুইজন নানা অজুহাতে একাধিকবার করোনা আক্রান্ত ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করে এবং তাকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি তিনি তার সহকর্মীদের মুঠো ফোনে জানান। এরপর ২৯ জুন রাতে দিদারুল ও নুরুল ইসলামকে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকের রুমে তারা ভুলে ঢুকে পড়েছিলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমাও চেয়েছেন। এদিকে, মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে উত্ত্যক্তের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তারা তালবাহানা করছে বলে দাবি করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
অপরদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. মোদাচ্ছের কবির কর্মচারীদের মারধরের ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।