সোহেল রানা
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাকারিয়াস দাসের গর্ভরত্না মা খ্রিস্টিনা দাস ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বার্ধক্য ও কিডনি রোগ জনিত সমস্যায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ পরিদর্শক মাকারিয়াস দাস। খবর পেয়ে সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান।
মাকারিয়াস দাসের মায়ের মৃত্যুতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম, ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম পিপিএম, খ্রিস্টান কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ,স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, সচেতন নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তারা মরহুমার স্বর্গবাসী রূহের শান্তি কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
স্বর্গীয় খ্রিস্টিনা দাস গত ৩ মার্চ থেকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১ মাস ৪ দিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় রবিবার সন্ধ্যায় তিনি ইহজগত ত্যাগ করেন।
মরহুমার বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা প্রদীপ এল দাস জানান, বাবার পর মাকে হারিয়ে আমরা পুরো পরিবার অভিভাবক শূন্য হয়ে গেলাম। রাজধানীতে ধর্মীয় রীতি শেষে গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় গ্রামের বাড়িতে মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। স্বর্গীয় মায়ের জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন তিনি।
১৯৮৪ সালের ১২ এপ্রিল পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ফকিরগঞ্জ খ্রিস্টানপাড়া গ্রামে খ্রিস্টিনা দাসের গর্ভে পুলিশ কর্মকর্তা মাকারিয়াস দাস জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রয়াত সিমন দাস ও খ্রিস্টিনা দাস দম্পতির চতুর্থ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট তিনি। খ্রিস্টিনা দাস দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বা বু ম/ সুমন রায়