স্টাফ রিপোর্টার-
ঈদকে ঘিরে সক্রিয় রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের ঢাকা উদ্যান ও চাঁদ উদ্যান এলাকা থেকে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত “কিশোর গ্যাং” গ্রুপের ১৬ জন’কে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
গ্রেফতারকৃত দের নাম- ইসমাইল (২১), আরিফ (২১), ইমন (২৫), নাজমুল (২৩), নাদিম (৩৩), মোঃ ওয়াকিল (৩৬), মোঃ মোজাক্কিন (২০), মান্না (২১), সোহেল (৩৫), জাহিদ (৩৫), বেলাল (৩০), মোঃ দিপু (২১), মোঃ শান্ত (২০), মোঃ তাওসীফ (১৯), মোঃ তপু (১৯) এবং মোঃ লিটন মিয়া ওরফে সিএনজি লিটন (২৮)। এসময় উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ডেগার, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, এন্টি কাটার ও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল (৩১ মার্চ) রাতে র্যাব-২ এর একাধিক আভিযানিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান ও চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত কিশোর গ্যাং এর ওই ১৬ জন কে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও বেড়িবাঁধ এলাকায় চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে রাতের আধারে একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও বেড়িবাঁধসহ পাশর্বর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। গ্রেফতারকৃতরা দিনের বেলায় আত্মগোপনে থেকে রাতের বেলায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কারাভোগ করেছে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠে।
বিভিন্ন মার্কেট ও সড়কগুলোতে ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে র্যাবে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।