স্টাফ রিপোর্টার- ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় আমজাদ নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত রাজিব শিকদার কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ২৫ মার্চ রাতে র্যাব-৪ ও র্যাব-৮ এর যৌথ আভিযানিক দল মাদারীপুর সদর থানা এলাকা থেকে রাজিব’কে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে র্যাব-৪ সদর দফতর থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় বেশ কয়েকটি নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। এ সকল হত্যাকান্ডের আড়ালে সাভারের কিশোর গ্যাং “পিনিক রাব্বি” গ্রুপের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা যায়। গত ২১ মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখ ঢাকা জেলার সাভারের সোবহানবাগ এলাকায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ পিনিক রাব্বি গ্রুপের সদস্যরা আমজাদ হোসেন (৩৪) নামক এক ব্যক্তিকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মার্চ ২০২৪ রাতে র্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-৪ এবং র্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন এলাকা হতে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত আমজাদ হত্যাকান্ডের অন্যতম মূলহোতা ও আসামী রাজীব শিকদার (৩২), জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পারে, গ্রেফতারকৃত রাজীব শিকদার ঢাকা জেলার সাভার এলাকার পিনিক রাব্বী গ্রুপের অন্যতম সদস্য। গ্রেফতারকৃত আসামী ও তাদের গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিলো। তাদের গ্রুপে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে। এই গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । এছাড়াও প্রায়ই মাদক সেবন ও মাদক কেনা-বেচাসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো বলে জানা যায়। এই গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন সময় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করতো।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।