1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

মোবাইল হারানো’কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের দ্বন্দে খুন হয় আকাশ!

  • সময় : সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৯১

স্টাফ রিপোর্টার- সাভারের আড়াপাড়া এলাকার একটি বাসায় ডিজি পার্টিতে মোবাইল ফোন হারানো’কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের দ্বন্দে খুন হয় “পিনিক রাব্বি গ্রুপের” সদস্য আকাশ।

র‌্যাব বলছে, মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই যুবককে মারধর অত:পর একই ঘটনায় একটি খাবার হোটেলের ভিতরে ‘হৃদয় গ্রুপ’ ও ‘পিনিক রাব্বি গ্রুপের’ সংঘর্ষ চলাকালে আকাশকে ধারালো দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই দুই গ্রুপের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ ছিলো। হত্যাকান্ডের এই ঘটনায় অভিযুক্ত “হৃদয় গ্রুপের” ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ হৃদয় হোসেন ওরফে গিয়ার হৃদয় (২৪), মোঃ আরিয়ান আহম্মেদ জয় ওরফে ড্যাগার আরিয়ান (২৩), নাসির উদ্দিন নাসু ওরফে বাবা নাসু (৫২), মোঃ আবিরুল হক আবির ওরফে কাটা আবির (২৪),  জোবায়ের হাসান খন্দকার ওরফে পাইটু জোবায়ের (১৯), মোঃ জাকির হোসেন রনি (৩০), মোঃ জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহেদ (৩৬) এবং আমির হামজা (২১)। এসময় তাদের নিকট থেকে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র, হেরোইন ও কষ্টিপাথর সদৃশ্য মূতি উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, গতকাল (২৪ মার্চ) রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা জেলার সাভার এলাকার ‘হৃদয় গ্রুপের’ সদস্য। তাদের গ্রুপে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে। ৪-৫ বছর যাবৎ হৃদয়ের নেতৃত্বে ‘হৃদয় গ্রুপ’ পরিচালিত হয়ে আসছিল। তারা সাভার এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার, এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।

কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছিনতাইকৃত টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে গত ২২ মার্চ আমজাদ নামের এক যুবক’কে হত্যার উদ্দেশ্যে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে সাভার এলাকার সবুজবাগ পুকুর পাড়ে ফেলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর আগে গত বছরের ৯ জুলাই মাদক ব্যবসার টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ‘হৃদয় গ্রুপের’ সদস্যরা ‘পিনিক রাব্বি গ্রুপের’ সদস্য আকাশ মাহমুদ নামক এক যুবককে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এছাড়াও এই গ্রুপের সদস্যরা গত ১২ মার্চ সাভার পৌর এলাকায় সোহেল নামক এক ব্যক্তিকে এবং গত ২১ মার্চ সোবহানবাগ এলাকায় আমজাদ নামক অপর এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই গ্রুপের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল সাভার এলাকায় নির্মাণ কাজে চাঁদাবাজি করা। তারা প্রায়ই মাদক সেবন ও মাদক কেনা-বেচাসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো । এছাড়া বিভিন্ন সময় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও এই গ্রুপটি কাজ করতো।

গ্রেফতারকৃতদের সম্পর্কে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গিয়ার হৃদয় সাভার এলাকায় ৪-৫ বছর যাবত একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ পরিচালনা করে আসছিল। সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করতো। সে সাভারের এনাম মেডিকেল এর সামনে কিশোর গ্যাং এর দুই গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে নিহত আকাশ হত্যা মামলার ১ নম্বর পলাতক আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মাদক, হত্যা, মারামারি ও ছিনতাইসহ ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া গ্রেফতারকৃত ড্যাগার আরিয়ান গ্রেফতারকৃত গিয়ার হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী। সে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য এলাকায় তাকে সবাই ড্যাগার আরিয়ান বলে চিনতো। তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া গ্রেফতারকৃত নাসির উদ্দিন ওরফে বাবা নাসু গিয়ার হৃদয় গ্রুপের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি ও হত্যাসহ ৪টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেফতারকৃত আবিরুল ওরফে কাটা আবির, আমির হামজা ও জোবায়ের ওরফে পাইটু জুবায়ের সাভারে অন্যতম ত্রাস সৃষ্টিকারী হৃদয় গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে । গ্রেফতারকৃত জাহিদুল হৃদয় গ্রুপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে হৃদয় গ্রুপের সদস্যদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করতো বলে তাকে সবাই গ্রুপটির উপদেষ্টা বলতো। সে কষ্টি পাথর ও ধাতব মুদ্রা প্রতারণার সাথেও জড়িত। সে বিভিন্ন ব্যক্তিদেরকে ভূয়া পাথরের মূর্তি দেখিয়ে, কষ্টি পাথর বিক্রির কথা বলে তার সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিত। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বিভিন্ন থানায় ৬-৭টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন রনি ওরফে মেশিন রনি হৃদয় গ্রুপের অন্যতম সদস্য। সে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন হৃদয়ের নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করে এবং সেই অস্ত্র বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভাড়ায় প্রদান করতো। সে আগ্নেয়াস্ত্র ভাড়ায় প্রদান করায় তাকে সবাই মেশিন রনি হিসেবে চিনতো। তার বিরুদ্ধে সাভার থানায় হত্যা মামলা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪