স্টাফ রিপোর্টার-
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০ পিস স্বর্নের বারসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক ও এক রিসিভার’কে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা(এনএসআই) ও এপিবিএন এর যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নভোএয়ারের গাড়ি চালক মো হেলাল (৫১) এবং রিসিভার কামাল হোসেন (২৯)।
শনিবার (১৬ মার্চ ) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়ি চালক মো.হেলালকে নজরদারীতে রাখা হয়েছিল। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্যান্য দিনের মত আজকেও ডিউটিতে আসেন। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেইট দিয়ে বের হন।
জিয়াউল হক আরও জানান, এসময় নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ সিএনজিতে উঠতে দেখা যায়। অতঃপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা সিএনজির গতিরোধ করেন এবং তাদেরকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন। বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের পর রিসিভার কামাল হোসেনের সাথে থাকা কাঁধ ব্যাগের ভিতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি সোনার বার পাওয়া যায়। যার ওজন ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম (প্রায়)। আটককৃত স্বর্নের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
জিয়াউল হক বলেন, রিসিভার কামাল হোসেনের ভাষ্যমতে নভো এয়ারের ড্রাইভার হেলাল তাকে এই স্বর্ন দিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে ১০,০০০ টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন ।
আটক নভোএয়ারের গাড়িচালক মো: হেলাল এর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামে। তার বাবার নাম মুর্শিদ আলম। রিসিভার কামাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ: করিম।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।