ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়া হানিফ মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জুন মঙ্গলবার মারা গেছেন।
তবে কি কারণে হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে এর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন।জানা যায়, গত ২রা জুন মঙ্গলবার রাতে বিলের মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহেবনগর গ্রামের বাজারে হোসেন আলি বাড়ির মোহাম্মদ রব্বানি মিয়াকে মাইনুদ্দিন বাড়ির আপন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার লোকজন মারধর করে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩রা জুন বুধবার সকালে রিপন মিয়া ও নান্নু মিয়া গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ওই সংঘর্ষে নান্নু মিয়ার গ্রুপের লোকের ছোড়া গুলির আঘাতে রিপন মিয়া গ্রুপের হানিফ মিয়া গুরুতর আহত হলে,তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কুমিল্লা এবং পরে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকার প্রো-একটিভ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছে হানিফ মিয়ার নিকট আত্মীয় নুরুল হক।
দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী ওই সংঘর্ষের ঘটনায় নবীনগর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছেন।
এ ব্যাপারে নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, হানিফ মিয়ার মৃত্যুর খবর শুনেছি, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি কি স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেছেন নাকি সংঘর্ষে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।