মায়ের এক ধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোশ বানাইলে এ ঋন শোধ হবেনা আমার মাগো…..। ফকির আলমগীরের এই লোম হর্ষক গানটি সত্যিই আমাদের মন একটু হলেও ব্যথিত করে। যার জন্য এই পৃথিবীর মূখ দেখলে তাকেই তুমি চিননা! এমনই এক কাহিনী সৃষ্টি করেছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের আমরদী গ্রামের হত দরিদ্র কৃষক অাবু মোল্লার ছেলে হাফেজ বাকি বিল্লাহ।
তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বাকি বিল্লাহ বড় ছেলে। বাবা মা অনেক আশা করে ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়েছিল যে, আমার ছেলে হাফেজ, মাওলানা হলে আমাদের মৃত্যুর সময় জানাজা পড়াতে পারবে। আমাদের জন্য দোয়া করবে। কিন্তু এখন দেখি পেটে কাল সাপ রেখেছিলাম।
আমার স্বামী বৃদ্ধ, অসুস্থ যেটুকু জমি ছিল তা পরের কাছে বন্দক রেখে চিকিৎসা হচ্ছে। কোন কাজ করতে পারেনা। হাফেজ বাকি বিল্লাহ বেশ কিছুদিন ধরেই মা’কে মারধর করে আসছে বলে তার মা সাংবাদিকদের সামনে ভিডিও বক্তব্যে বললেন। আপনারা এর একটা বিচার করে দেন। সে শুধু মাকেই নয়,বাঁধা দিতে গেলে আমাদেরও মারধর করে বলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান বোন রিজিয়া ও সাবানা।
মাকে যেনো আর না মারে সেই বিচারই সকলের কাছে চায় মা আয়শা বেগম। হাফেজ বাকি বিল্লাহ বর্তমানে ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার মনিকোঠা বাজারের নতুন সাহেবেরচর সমবায় নতুন জামে মসজিদে ইমামতি করেন বলে তার পরিবার থেকে জানা গেছে। এঘটনার পর হাফেজ বাকি বিল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার মা বলেন আমার স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে।
কিন্তু এই ১৭ বছর বিবাহিত জীবন সংসার থেকে কিভাবে স্ত্রীকে ছেড়ে দিব? এজন্যই মার সাথে বাকবিতণ্ডা বাধে।মনে হয় সে আমার সৎ মা। এলাকা সূত্রে ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি বলেন, হাফেজ বাকি বিল্লাহ এত বড় বেয়াদব ও খারাপ যে, বছর দু’য়েক আগে ওর বাবাকে মারধর করে চারটা দাঁত ফেলে দেয়। যা ওর মা আমার কাছে অনেকবার বিচার নিয়ে আসে। কিন্তু ও এতটাই খারাপ কারো কথাই শোনেনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মুন্নু মোল্যা বলেন, ওরা আমাকে ভোট দিয়েছে ঠিকই কিন্তু ওরা চরম বেয়াদব বলে আমি ওদের সালিশ বৈঠকে যাইনা।সাংবাদিকদের লেখালেখির মাধ্যমে ওই কুলাঙ্গার সন্তানের বিচার দাবি করেন মা আয়শা বেগম ও বোন রিজিয়া।