ডেস্ক নিউজঃ
বাড্ডার ৩৭ নং ওয়ার্ডে রিকশা সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও অবৈধ জমি বাণিজ্যের গডফাদার হয়ে উঠেছেন বাড্ডার সাবেক আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজির হোসেন@ রিক্সা নাজির। তার আরেক সহযোগী বাপ্পি ও তার ছোট ভাই হান্নান । তারা এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব সৃষ্টি করেছে সহযোগিতা করছে চাঁদাবাজিতে ও ভূমি দখলে । চাঁদা আদায়ের দায়িত্বে আছে নাজিরের ভাগ্নে মকবুল । তারাই মূলত বাড্ডা এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। রিক্সা নাজির পূর্ব বাড্ডা নামাপাড়ার আইসিএল গার্ডেন সিটির বিভিন্ন মধ্যবিত্ত লোকদের একাধিক প্লট দখল করে রেখেছেন উদ্দেশ্য একটাই চাঁদা । আর সাধারণ মানুষ বাধা দিলে নির্যাতন সহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তারা । বাড্ডা কবরস্থান রোড, ডিআইটি প্রজেক্ট সড়ক হয়ে পোস্ট অফিস গলি থেকে পাঁচতলা বাজার পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করে একচেটিয়া চাঁদাবাজি করছে রিক্সা নাজির । জানা যায় এই বাহিনীর কাজই হল এলাকায় অটো রিক্সা থেকে চাঁদাবাজি করাএবং মানুষের জমি দখল করে নেওয়া । জানা যায় বইঠা খালি, আলিফ নগর এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়ি সহ ছয় কাটার একটি প্লট দখল করে নেয় এই সন্ত্রাসী নাজির ও তার বাহিনী । আর রিক্সার চাঁদার টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন নেতাদের কাছে । প্রতিটি অটো রিক্সার মাসে গুনতে হয় ১০০০ টাকা । এবং রাস্তায় নামানোর জন্য রোড পারমিশন হিসাবে নেওয়া হয় ৫০০০ টাকা । কোন রিক্সার গ্যারেজের মালিক চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হান্নান বাপ্পি মকবুল গ্রুপ তাদের নির্দিষ্ট টর্চার সেলে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে । এই সিন্ডিকেট গোড়ায় বসে সকল কারসাজি করছেন বাড্ডা ইউনিয়নেরআওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক এমদাদ । এসবের প্রেক্ষিতে একাধিক ভুক্তভোগী তাদের অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছে ।
তথ্য সূত্রঃ
দৈনিক বর্তমান কথা
দৈনিক আপন আলো
সবুজ বাংলাদেশ