সাকিব আসলাম
ঢাকার আশুলিয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনজন সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শকসহ (এএসআই) চার পুলিশ সদস্যকে গনধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তাদেরকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রণস্থল এলাকার ডিজাইনার ফ্যাক্টরির সামনে আব্দুল মান্নানের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
চাঁদাবাজির অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার পুলিশ সদস্যরা হলেন, আশুলিয়া থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) উৎপল, (এএসআই) এমারত ও কনস্টেবল রয়েল এবং গাজীপুর জেলা পুলিশে কর্মরত (এএসআই) সোহাগ।
স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেল সাড়ে চারটারদিকে আশুলিয়ার ওই এলাকায় শারীরিক প্রতিবন্ধী আঃ মান্নানের চায়ের দোকানে বসে বিপিএল খেলা দেখছিলেন স্থানীয়রা। এসময় সাদা পোশাকে আসেন এএসআই উৎপল, এএসআই এমারত, কনস্টেবল রয়েল ও গাজীপুর জেলায় কর্মরত এএসআই সোহাগসহ ৫/৬ জন। পরে তারা সেখানে জুয়া খেলা হয় বলে সবাইকে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী আব্দুল মান্নানের পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা, গরু ব্যবসায়ী মোঃ নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ৪৮ হাজার ৭৭০ টাকা, মোঃ রাসেলের মোবাইলের বিকাশ একাউন্টে থাকা ৫০ হাজার টাকা এবং মোঃ সোনা মিয়ার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ভুয়া পুলিশ বলে তাদের মধ্যে ৪ জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা (এএসআই) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী দোকানী মান্নান জানান, বিকেলে হটাৎ তারা এসে আমাকে বলে তুই জুয়া খেলস, জুয়ার ডিলার এই বলে আমার পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল ও টাকা নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী দুপুরে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন উঠিয়ে আমাকে দিয়েছিল। সে টাকাটা ওরা নিয়ে গেছে। আমার মত আরও অনেকের কাছ থেকেও মামলার হুমকি দিয়ে টাকা নিয়ে গেছে তারা।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এএসআই মিজানুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে বলে উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করি। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের থানায় নিয়ে আসি।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, এই ঘটনা আমি আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। ঘটনার বিস্তারিত না জেনে আমি কিছু বলতে পারব না।
বা বু ম/ অভিজিৎ রায়