স্টাফ রিপোর্টার-

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ইটবাহী ট্রাকের সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের আংগারদোহা কালভার্ট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের জিয়েলতলা গ্রামের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস (৩৯), তার ছেলে অনি বিশ্বাস (৪), বিশ্বজিতের শ্যালকের স্ত্রী নিপা রানী (২৬), বিশ্বজিতের শাশুড়ি (নাম জানা যায়নি) ও খর্নিয়া ইউনিয়নের আংগারদোহা গ্রামের হান্নান মোড়লের ছেলে সাব্বির মোড়ল (২৪)।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ঘটনাস্থলে দুজন, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজন ও শিশু অর্নি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ ছাড়া গুরুতর আহত দুজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে। হতাহত সবাই ইজিবাইকের যাত্রী ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে বিশ্বজিৎ ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তখন ইজিবাইকে বিশ্বজিতের স্ত্রী অন্তিমা বিশ্বাস (২৮), ছেলে অনি বিশ্বাস (৪), বিশ্বজিতের শাশুড়ি (নাম জানা যায়নি), বিশ্বজিতের শ্যালকের স্ত্রী নিপা রানী (২৬), নিপার ছেলে অর্জিত বিশ্বাস (৬) ও সাব্বির মোড়ল নামের আরও একজন যাত্রী ছিলেন।

ইজিবাইকটি খর্নিয়া ছেড়ে ডুমুরিয়ার দিকে যাওয়ার সময় আঙ্গারদোহা এলাকায় সাতক্ষীরা অভিমুখী একটি ইটবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের সামনে ভেঙে যায় এবং ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হন। এরপর ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও দুজন মারা যান। এছাড়াও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয়।

খর্নিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চালকসহ ইজিবাইকে সাতজন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।’

ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, ‘ঘটনাস্থলে দুজন ও ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজন মারা গেছেন। বাকি তিনজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিশ্বজিতের ছেলে অর্নি মারা যায়। বর্তমানে সেখানে বিশ্বজিতের স্ত্রী অন্তিমা ও তার শ্যালকের ছেলে অর্জিত চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।’