1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচনে কোন কেন্দ্রে জাল ভোট হলে তাৎক্ষণিক ভোটগ্রহণ বন্ধ- ইসি হাবিব নৌ সদর দপ্তরের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন আশুলিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা, ২ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় নিহত ৩ ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে-ওবায়দুল কাদের তীব্র তাপ প্রবাহের সাথে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ ভারতে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ

ঢাকায় বসে আন্তর্জাতিক মাদক রুট নিয়ন্ত্রণ করতেন ডন ফ্রাঙ্কি

  • সময় : রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৪
গ্রেফতারকৃত- সাইফুল ইসলাম রনি(৩৪), মো. আসাদুজ্জামান আপেল (২৭), ক্যামেরুনের নাগরিক কেলভিন ইয়েং, নাইজেরিয়ান নাগরি ননসো ইজিমা পেটার ওরফে অস্কার (৩০) ও নুডেল ইবুকা স্টানলি ওরফে পডস্কি (৩১)।
গ্রেফতারকৃত- সাইফুল ইসলাম রনি(৩৪), মো. আসাদুজ্জামান আপেল (২৭), ক্যামেরুনের নাগরিক কেলভিন ইয়েং, নাইজেরিয়ান নাগরি ননসো ইজিমা পেটার ওরফে অস্কার (৩০) ও নুডেল ইবুকা স্টানলি ওরফে পডস্কি (৩১)।

স্টাফ রিপোর্টার-

নাইজেরিয়ান নাগরিক ডন ফ্রাঙ্কি ওরফে জ্যাকব ফ্রাঙ্কি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন।

গত ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দর ইমিগ্রেশন থেকে মালাউয়ের নাগরিককে  ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেনসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২৫ জানুয়ারি রাতে ২০০ গ্রাম কোকেনসহ তানজেনিয়ার অপর এক নাগরিককে গ্রেফতার করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। 

মাত্র এক দিনে একাধিক অভিযানে দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে মাঠে নামে ডিএনসি। এরপর ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযানে দুই বাংলাদেশিসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই বেড়িয়ে আসে দেশে গার্মেন্টস ব্যবসার আড়ালে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রের তথ্য।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাইফুল ইসলাম রনি(৩৪), মো. আসাদুজ্জামান আপেল (২৭), ক্যামেরুনের নাগরিক কেলভিন ইয়েং, নাইজেরিয়ান নাগরি ননসো ইজিমা পেটার ওরফে অস্কার (৩০) ও নুডেল ইবুকা স্টানলি ওরফে পডস্কি (৩১)।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডিএনসির উত্তরা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।

তিনি বলেন, মালাউয়ের  নাগরিক ও তানজেনিয়ার নাগরিককে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাদ, ডিজিটাল ডিভাইস ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে কোকেন চোরাচালান চক্রের অন্যান্য সদস্যসহ মূল হোতা ডন ফ্রাঙ্কি নামের এক নাইজেরিয়ান নাগরিকের সন্ধান পাওয়া যায়। গার্মেন্টস ব্যবসার আড়ালে তিনি আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাকে চক্রের সদস্যদের কাছে বিগ বস নামে পরিচিত। ফ্রাঙ্কি বাংলাদেশ নাইজেরিয়ান কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট। গত ৯ বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা ফ্রাঙ্কি ৯ মাস আগে দেশ ছেড়ে নিজ দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

মাদকের মহাপরিচালক ফারুকী আরও বলেন, বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্যামেরুনের নাগরিক কেলভিনকে গ্রেফতার করা হয়। কেলভিন চলতি মাসের ২০ তারিখ আরেক বিদেশি নাগরি মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কেলভিন এই মাদক চক্রের অন্যতম সদস্য। তিনি বাংলাদেশে বসে মাদকের দেশি বিদেশি সদস্যদের সমন্বয় করা হয়। গত ২৪ তারিখ কোকেনসহ মালাউয়ের নাগরিক গ্রেফতারের খবরে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কেলভিন। এই প্রস্তুতিকালেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ফারুকী আরও বলেন, মাদক চক্রের মূলহোতা ডন ফ্রাঙ্কির বাংলাদেশী সহযোগী রনিকে গ্রেফতার করার পর চক্রের অন্যদের গ্রেফতারের অভিযান চালায় ডিএনসি।

রনি এই সিন্ডিকেটের বাংলাদেশী সমন্বয়কারী। সেও গার্মেন্টস শিল্পের বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতেন। তার কাজ ছিল মাদক বহনকারীদের দেশে প্রবেশের প্রয়োজনীয় ইনভাইটেশন, হোলেট বুকিং ও ভিসা পাওয়ার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা। ম্যাসপেক্স লিমিটেড নামের কথিত একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে এই আমন্ত্রণ পত্র ইস্যু করা হত। রনির মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য প্রযুক্তির ডিভাইস বিশ্লেষণ করে একাধিক ভূয়া ইনভাইটেশন লেটার পাঠানো ও চক্রের মূলহোতা ফ্রাঙ্কির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া ফ্রাঙ্কির অফিসে অভিযান চালিয়ে বারিধারার একটি বাসা থেকে কোকেন চোরাচালান সিন্ডিকেটের গুরুত্বপূর্ন তথ্য এবং কোকেন পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ল্যাগেজ পাওয়া গেছে।  সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও বাড়ির মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ফ্রাঙ্কি দীর্ঘ ৯  মাস আগে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে। তার অবর্তমানে ফ্রাঙ্কির ভাই উইসলি ও তাদের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান আপেল এই বাসায় থেকে ব্যবসা দেখাশুনা করত। কোকেন চালান আটকের সংবাদ পেয়ে তারা আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আপেলকে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আপেল ডিএনসিকে জানিয়েছে,  বাংলাদেশে কোকেনের চালান প্রবেশের পরে পুনঃপ্যাকেজিং, নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা দায়িত্ব ছিল তার। তার ডিজিটাল ডিভাইস বিশ্লেষণ করে এ সংক্রান্ত প্রমাণাদি পাওয়া গেছে। ফ্রাঙ্কির ভাই উইসলি কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ত্যাগ করে চলে গেছে। পরবর্তীতে আপেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্কার, পডস্কিকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪